‘কর্মসূচি প্রত্যাহারকারীরা মুখপাত্র নয়, আন্দোলন চলবে’

1 month ago 28

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সংযোগ নেই। তারা আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র নন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা। সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানান একাধিক সমন্বয়ক।

এর আগে এদিন সকালে প্রশাসনের সঙ্গে দুই ঘণ্টা রূদ্ধদ্বার বৈঠক করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণামূলক একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই ৯ শিক্ষার্থী।

এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের থেকে আন্দোলন স্থগিত করা বিষয়ক যে বিবৃতি নেওয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির কোনো সংযোগ নেই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন বন্ধ হচ্ছে না। আমাদের সমন্বয়ক ও নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সকলকেই প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং প্রত্যেকে তা সুস্পষ্টত প্রত্যাখ্যান করেন। শহীদের রক্তের সঙ্গে কোনো বেঈমানী নয়। এই আন্দোলন চলবে, এমনকি আহ্বান করার মতো একজনও যদি না থাকে তবুও। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন আন্দোলন চালিয়ে যায় সেই অনুরোধ করছি।’

আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সায়েম আহমেদ বলেন, ‘একজন সহযোদ্ধা হিসেবে আমি বলছি, প্রশাসন থেকে বারবার বলার পরেও আমি বা আমাদের কেউই আলোচনায় রাজি হইনি। প্রাণ থাকতে শহীদের রক্ত মাড়িয়ে সমঝোতা করবো না। আমরা বলেছি, সরকার বা কোনো বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা নয়। যদি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার এজেন্ডা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসতে চাই, আমরা অবস্থা বুঝে বসতে পারি। যারা আলোচনায় বসেছিলেন, তারা আমার বা আমাদের কারো মুখপাত্র নন। আন্দোলন শেষ হয়নি, দাবি আদায় না করা পর্যন্ত চলবেই। এমনকি একজনও যদি ডাকবার মতো না থাকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’

এদিকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা নিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়া আবদুর রহমার নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বলে ডাকা হয়নি। বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে কথা বলবে। কিন্তু যাওয়ার পর আগে থেকেই প্রিন্ট করা একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। আমরা বলেছি আমরা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের কেউ নই। পরে আমরা কিছু দাবি জানিয়েছি।’

মুনজুরুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article