ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের মধ্যে সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের উসকানি ছিল বলে দাবি করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি করেন।
এসময় সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী লিখন ইসলাম বলেন, সোহরাওয়ার্দী কলেজে ১ম ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কয়েকটি কলেজ একত্রিত হয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। এসময় সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা দায়িত্বশীল ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে পারত। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের উসকানি এবং সংঘাতে অংশগ্রহণের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আমারা বিশ্বাস করি, যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করা চরম নিন্দনীয় কাজ। এজন্য আমাদের সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সহনশীল মনোভাব পোষণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আহ্বান জানাচ্ছি, আমরা যেন কোনো তৃতীয় পক্ষের উসকানিতে দেশে সহিংসতার সৃষ্টি না করি। এই উসকে দেওয়া তৃতীয় পক্ষের মানুষদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, কলেজ সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের বা অন্য মানুষদের উসকানি ছিল। মূলত তাদের উসকানিতে এই ধরনের সহিংসতার সূত্রপাত। সহিংসতার শুরু থেকে কবি নজরুল বা সোহরাওয়ার্দীর কোনো শিক্ষার্থীদের কোনো ভিড় ছিলনা। আমাদের নাম ভাঙিয়ে তৃতীয় পক্ষ সোহরাওয়ার্দী, কবি নজরুলের শিক্ষার্থীদের ছদ্মবেশে এমন সহিংসতার সৃষ্টি করে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।