কাজে আসছে না ৩ কোটি টাকার সেতু

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ চা বাগান হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগান। এখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের জন্য ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে তেরি করা হয় একটি সেতু। তবে সেতুটি তৈরির ৩ বছরের মধ্যে দুই পাশের এপ্রোচ সড়ক ধসে পড়ছে। ফলে প্রতিদিন হাজারো শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও রোগীদের বালু–কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে পুরো অঞ্চলের মানুষ। জানা গেছে, ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে সুরমা চা বাগানের ছড়া নদীর ওপর প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়। কিন্তু নির্মাণের অল্প কিছুদিন পরই নিম্নমানের কাজ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে ব্রিজটির দুপাশের সংযোগমাটি বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়ে। ফলে এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমানে ছড়া নদীর তলদেশে পানি জমে যাওয়ায় পারাপার আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। চা বাগানের ২০ নম্বর সেকশন এলাকার চা শ্রমিকরা জানান, সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বর্ষার সময় নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। চা শ্রমিক নির্মলা দেবী বলেন, দুই বছর ধরে এ সেতুর কারণে আমাদের জীবন কষ্টের মধ্যে কাটছে। বৃষ্টি নামলে

কাজে আসছে না ৩ কোটি টাকার সেতু

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ চা বাগান হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগান। এখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের জন্য ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে তেরি করা হয় একটি সেতু। তবে সেতুটি তৈরির ৩ বছরের মধ্যে দুই পাশের এপ্রোচ সড়ক ধসে পড়ছে। ফলে প্রতিদিন হাজারো শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও রোগীদের বালু–কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে পুরো অঞ্চলের মানুষ।

জানা গেছে, ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে সুরমা চা বাগানের ছড়া নদীর ওপর প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়। কিন্তু নির্মাণের অল্প কিছুদিন পরই নিম্নমানের কাজ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে ব্রিজটির দুপাশের সংযোগমাটি বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়ে। ফলে এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমানে ছড়া নদীর তলদেশে পানি জমে যাওয়ায় পারাপার আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।

চা বাগানের ২০ নম্বর সেকশন এলাকার চা শ্রমিকরা জানান, সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বর্ষার সময় নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।

চা শ্রমিক নির্মলা দেবী বলেন, দুই বছর ধরে এ সেতুর কারণে আমাদের জীবন কষ্টের মধ্যে কাটছে। বৃষ্টি নামলে পার হওয়া যায় না। অনেক সময় পিছলে পড়ে যাই।

আরেক শ্রমিক সুনিতা তেপা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতো টাকা খরচ করে সেতু বানানো হলো। কিন্তু এখন সেটি মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কেউ এসে দেখতেও চায় না।

স্থানীয় বাসিন্দা টিংকু সাঁওতাল বলেন, সেতুটি এখন আমাদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ভয়ে থাকি। না জানি কখন ভেঙে পড়ে। আমরা চাই দ্রুত সংস্কার করা হোক।

ইউপি সদস্য লতিফ হোসেন বলেন, সেতুটি স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করেছিল। কিন্তু এখন তা অভিশাপে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া শ্রমিকদের চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক কমল সরকার জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডি দপ্তরে বারবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শ্রমিকরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার) রেজাউন নবী বলেন, ব্রিজের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। এটি চলমান প্রকল্প। বরাদ্দ এনে বাকি কাজ শেষ করে এটি চালু করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এনএইচআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow