নাজমুল হোসেন শান্ত একটা সময় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন। এখন তিনি দলেই নেই। ক্যারিয়ারে ৫০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তার নামের পাশে। অভিজ্ঞতার কমতি ছিল না। এশিয়া কাপের মতো আসরে শান্ত কেন নেই? কম স্ট্রাইকরেটই মূল কারণ? তবে কি টি-টোয়েন্টির দরজা বন্ধ হয়ে গেলো শান্তর?
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু তেমনটা মনে করেন না। তার কথা, ‘কারো জন্যই আমাদের দরজা বন্ধ নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যারা অন্য ফরম্যাটে খেলেন তারা নিশ্চয় আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান খেলোয়াড়। নতুন একটা ফরম্যাটে আমরা চাই প্রত্যেকটা জায়গায় যেমন চ্যালেঞ্জ আছে...সেই চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবেলা করার জন্য পারফরম্যান্স দরকার হয়। সেই পারফরম্যান্সের জায়গাটা আগে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমি মনে করি আমাদের এনসিএল টি-টোয়েন্টি, তার থেকে আরেক ধাপ উপরে বিপিএলও আছে। সেখানে নিজের জায়গায় খেলার বেশি সুযোগ থাকবে এবং নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ থাকবে।’
লিপু মনে করেন, কোনো খেলোয়াড় দল থেকে বাদ পড়লে তার নিজেরও আত্মোপলব্ধি হওয়া উচিত। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলি... কোনো একটা জায়গায় যখন নির্বাচিত না হউন কিংবা কেউ তার জায়গাটা হারান; আমার মনে হয় আমাদের পাশাপাশি প্রত্যেকেরই নিজে থেকে একটা উপলব্ধি আসা উচিত-আমি কেন জায়গাটা হারাচ্ছি। কী করলে আমি আমার জায়গাটা পুনরুদ্ধার করতে পারব। ওই চিন্তাটা আমার মনে হয় একতরফা হওয়া উচিত না যে, নির্বাচকরা বলে দেবে এই কারণে তুমি বাদ যাচ্ছো। আমার মনে হয় আত্মউপলব্ধির জায়গায়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পক্ষই যদি চিন্তা করে, তারপরে যদি কোনো উইন্ডো খোলা থাকে। সেটার জন্য তাদের সঙ্গে তো আমরা সবসময় কথা বলতে রাজি আছি।’
শান্তর সঙ্গে কথা বলেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, দাবি করে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘শান্ত যখন প্রথম দল থেকে বাদ পড়লেন তখনই তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা একদম পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা কী চাচ্ছি এবং ফেরার জন্য তাকে কী করতে হবে।’
এমএমআর/জিকেএস