জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কারো পাতা ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। ধৈর্যের পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি। আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। তারপরও এ দেশের দুশমন যারা তাদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা বাজারে সংক্ষিপ্ত পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলাদেশি। আমরা সবাই মিলে এখানে মর্যাদার সঙ্গে থাকব ইনশাআল্লাহ।
শফিকুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পতিত স্বৈরাচার ধরে নিয়েছিল ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বন্দোবস্ত তারা নিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ তায়ালার পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন, তার পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালের আগস্ট মাস হবে বিদায়ের শেষ ঘণ্টা বাজার সময়। তাদের অপমানিত করে আল্লাহপাক বিদায় দিতে চেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা দল হিসেবে মজলুম ছিলাম। এক এক করে আমাদের ১১ শীর্ষ দায়িত্বশীলকে খুন করা হয়েছে। আমাদের হাতে স্বৈরাচারের পতন হয়নি, আমাদের সন্তানদের হাতে পতন হয়েছে। আমাদের সন্তানরা বুক চিতিয়ে গুলির সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিল, হয় অধিকার দেও, নাহয় গুলি দেও। ৪ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত কেউ ভাবতে পারেনি ৫ তারিখ এমন একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, এখনকার সরকার আমাদের সবার পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করছে। তারা নির্বাচিত নয়, আবার জোর করেও ক্ষমতায় বসেনি। আমরা সবাই মিলে তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের জন্য দোয়া করবেন।
এর আগে যশোর চাচড়ায় একটি পথসভা শেষ করে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান সাতক্ষীরার উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে ঝিকরগাছায় সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি বক্তব্য দেন।
উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আরশাদুল আলম, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল আলিম, সাবেক এমপি মকবুল হুসাইন, ঝিকরগাছা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন, চৌগাছা উপজেলা আমির মাওলানা গোলাম মোর্শেদ, ঝিকরগাছা উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাহাবুবুর রহমান, শেখ আব্দুর রকিম, চৌগাছা উপজেলা সেক্রেটারি রহিদুল ইসলাম খান।
এ সময় বক্তব্য দেন চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কামাল আহম্মেদ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম মাহবুবু উল আলম মন্টু, মুফতি মাওলানা সাইফুল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আব্দুল হামিদ, আব্দুল খালেক, জিয়াউল হক, অ্যাড. আবিদুর রহমান, কবির বিন সামাদ, অ্যাড. হাবিব কাইসারসহ বিভিন্ন নেতারা।