কালচারাল ফ্যাসিস্টদের দায়মুক্তি দিলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, যারা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে সহযোগিতা করছে সেসব কালচারাল ফ্যাসিস্টদের দায়মুক্তি দিলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। নতুন বাংলাদেশে কালচারাল ফ্যাসিস্টদের শত্রু হিসেবে শনাক্ত করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘জুলাই স্মৃতি : শাবিপ্রবি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সাদিক কায়েম। ডাকসু ভিপি বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কিছু কুলাঙ্গার শিক্ষক। কালচারাল ফ্যাসিস্টরা তাকে সহযোগিতা মাধ্যমে বিচারিক হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে। আমরা বারবার শত্রু-মিত্র চিনতে ভুল করে থাকি। যারা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েমে সহযোগিতা করেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড বৈধতা দিয়েছে, অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দিয়েছে, প্রতিটা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের বৈধতা দিয়েছে, সেই কালচারাল ফ্যাসিস্টদেরকে আমাদের শত্রু হিসেবে শনাক্ত করতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে

কালচারাল ফ্যাসিস্টদের দায়মুক্তি দিলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, যারা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে সহযোগিতা করছে সেসব কালচারাল ফ্যাসিস্টদের দায়মুক্তি দিলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। নতুন বাংলাদেশে কালচারাল ফ্যাসিস্টদের শত্রু হিসেবে শনাক্ত করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘জুলাই স্মৃতি : শাবিপ্রবি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সাদিক কায়েম।

ডাকসু ভিপি বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কিছু কুলাঙ্গার শিক্ষক। কালচারাল ফ্যাসিস্টরা তাকে সহযোগিতা মাধ্যমে বিচারিক হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে। আমরা বারবার শত্রু-মিত্র চিনতে ভুল করে থাকি। যারা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েমে সহযোগিতা করেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড বৈধতা দিয়েছে, অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দিয়েছে, প্রতিটা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের বৈধতা দিয়েছে, সেই কালচারাল ফ্যাসিস্টদেরকে আমাদের শত্রু হিসেবে শনাক্ত করতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

কালচারাল ফ্যাসিস্ট মোকাবিলায় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরসহ বাংলাদেশপন্থি সবাইকে এক হতে হবে উল্লেখ করে সাদিক কায়েম বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমরা যদি তাদের সুযোগ দিই তারা ফের ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের এক বছর পেরুতেই এটিকে নাই করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এটা শুধুই একটা ক্ষমতা পরিবর্তনের আন্দোলন। আমরা বলতে চাই, শুধু ক্ষমতার পালাবদলের জন্য আমাদের ২ হাজার শহীদরা জীবন দেননি, ৪০ হাজার ভাই বোনেরা শুধু ক্ষমতার পালাবদলের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেননি, যাদের অধিকাংশ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ব্যক্তিগত বা দলীয় কারণে আমরা যদি কালচারাল ফ্যাসিস্টদের দায়মুক্তি দিই তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না, নতুন প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবেন না, শহীদরা আমাদের ক্ষমা করবেন না। সুতরাং জুলাইকে আমাদের ধারণ করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে জুলাইকে তুলে ধরতে, এর ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে।


এসএইচ জাহিদ/কেএইচকে

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow