চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর ওপরে ঢাকামুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে একাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেতুর বোয়ালখালী অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়। তবে ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিস কাপ্তাইয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল মান্নান রাত ১টায় জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এখনো একজন নিহত ও দুইজন আহত পেয়েছি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে, আসিফ উদ্দিন বাপ্পি, আসমা আহমেদ এবং আঞ্জু আরা নামে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে।
আরও পড়ুন
- কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন-অটোরিকশা-বাইক সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন
৩ বছর পর দেশে ফিরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী, পরিবারে শোকের ছায়া
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি বোয়ালখালী অংশ থেকে শহরের দিকে কালুরঘাট সেতু পার হয়ে আসার সময় সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিগন্যাল না মেনেই বিপরীত দিক থেকে সেতুর ওপরে উঠে যায় অটোরিকশা মোটর সাইকেলসহ কয়েকটি ছোট যানবাহন। দ্রুতগতিতে আসা ওই ট্রেনের সঙ্গে তখন যানবাহনগুলোর সংঘর্ষ হয়।
উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা জানান, চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি প্রাইভেট কার, একটি কাভার্ড ভ্যান এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায়। এখনো ট্রেনের ইঞ্জিনের নীচে কয়েকটি ছোট যানবাহন আটকে রয়েছে।
কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার আমিনুল ইসলাম জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে তারা দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়েছেন। তাদের স্টেশন থেকে অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের পরিমাণ জানা যায়নি।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানিয়েছেন, কালুরঘাট থেকে উদ্ধার করে আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এমডিআইএইচ/এএমএ