সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কালো টাকা সাদা করার প্রমাণ পেয়েছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (আইটিআইআইইউ)। এরই মধ্যে তাদের তিনজনের নামে থাকা ছয় কোটি টাকার এফডিআর ফ্রিজ করা হয়েছে।
এছাড়া সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও তার স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
এনবিআর সূত্র জানায়, সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী আক্তারি বেগম ও ছেলে ইশতিয়াক আজাদের নামে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এগুলোর মূল্য ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তারা কর ফাইলে দেখিয়েছেন ২ কোটি ৩ লাখ টাকা। এসব ফ্ল্যাটের কর পরিশোধ করেছেন আয়কর আইনের কালো টাকা সাদা করার ধারার সুযোগ নিয়ে।
এছাড়া আক্তারি বেগম ২০২০-২১ করবর্ষে কালো টাকা সাদা করার ধারার সুযোগ নিয়ে আরও ৪ কোটি টাকা ঘোষণা দিয়েছেন, অর্থাৎ কর ফাইলে প্রদর্শন করেছেন। তাদের তিনজনের নামে ছয় কোটি টাকার এফডিআরও পাওয়া গেছে। এফডিআরের এ টাকা ফ্রিজ করেছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (আইটিআইআইইউ)।
আবুল কালাম আজাদ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ছিলেন।
অপরদিকে সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও তার স্ত্রী সঞ্চিতা দত্তের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে। তাদের ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের (প্রোপাইটরশিপ-সাদিয়া ট্রাভেলস ও অন্যান্য) নামে এফডিআর হিসাব এবং স্থায়ী আমানত হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর স্থগিত করা হয়েছে।
তাদের আমানতের স্থিতির তথ্য তিন কার্য দিবসের মধ্যে পাঠাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে আয়কর গোয়েন্দা।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, শ্যামল দত্ত তার বেতনের অর্থও আয়কর নথিতে প্রদর্শন করতেন না।
এসএম/জেডএইচ/