কাশ্মীরে গাছের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র

3 hours ago 4

পৃথিবীর স্বর্গ বলে খ্যাত কাশ্মীর। আর এই অঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণ হল ‘চিনার গাছ’। কিন্তু নগরায়নের জেরে বিপন্ন হতে বসেছে কাশ্মীরের এই বিখ্যাত গাছ। তাই চিনার গাছ রক্ষা করতে এবার অভিনব সিদ্ধান্ত নিলো জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

জানা গেছে, প্রতিটি চিনার গাছের জন্য ‘ডিজিটাল ট্রি আধার’ অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র বানাবে তারা। এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি চিনার গাছের খুঁটিনাটি তথ্য পৌঁছে যাবে সরকারের কাছে।

কীভাবে কাজ করবে এই ডিজিটাল ট্রি আধার? জানা গেছে, চিনার গাছ নিয়ে একটি ডেটাবেস তৈরি করবে সরকার। জিও ট্যাগ দেওয়া হবে প্রত্যেকটি গাছে। আধার কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো করেই প্রত্যেকটি গাছের জন্য দেওয়া হবে স্বতন্ত্র কিউআর কোড।

লোকেশন, গাছের স্বাস্থ্য, কীভাবে গাছটি বেড়ে উঠছে- সব তথ্যই পাওয়া যাবে ওই কিউআর কোডে। এমনকি, গাছগুলোর আশেপাশে প্রকৃতি বদলাচ্ছে কি না, কোনোভাবে গাছের ক্ষতি হতে পারে কি না, সেটাও জানা যাবে ওই কিউআর কোডের মাধ্যমে।

ডিজিটাল ট্রি আধার উদ্যোগে প্রথমেই চিনার গাছগুলোর উপর সমীক্ষা চালানো হবে। তারপরে একটি ডিজিটাল প্লেট বসানো হবে প্রত্যেকটি গাছে। এরই মধ্যে সাড়ে ২৮ হাজার গাছের সমীক্ষা হয়ে গেছে বলে জানান প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর সৈয়দ তারিক।

তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলার জন্য আলাদা করে রেজিস্টার তৈরি হবে। নতুন করে চিনার গাছ পোঁতা হলে, সেই তথ্যও লেখা হবে এই রেজিস্টারে। আগামী দিনে যেন কাশ্মীরে চিনার গাছ সংরক্ষণ করা যায়, সেজন্যই এমন উদ্যোগ।

সাধারণত ১৫০ বছর বাঁচে একেকটি চিনার গাছ। ৩০ মিটার লম্বা হয় গাছগুলো। ৩০ থেকে ৫০ বছর সময় লাগে এই উচ্চতায় পৌঁছতে। তবে ১৫০ বছর পর্যন্ত বেড়ে উঠতে পারে চিনার গাছ।

দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরে আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে চিনার গাছের সংখ্যা। ১৯৭০ এর দশকে রাজ্যটিতে এই গাছের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার। কিন্তু এখন সেটা কমে ৩৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে। সে কারণেই চিনার গাছ বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সূত্র: দ্য প্রিন্ট

এসএএইচ

Read Entire Article