কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পাট্টা গাবতলী গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এ সময় ঘরে থাকা আটটি ছাগল পুড়ে মারা যায়।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাত সোয়া ৯টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক সোয়া ৯টার দিকে বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে হঠাৎ বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন লেলিহান শিখায় রূপ নেয় এবং পাশের শরিফুল, মঞ্জু মিয়া ও হাবিবুর রহমানের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতায় ঘরে থাকা আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, শস্য এবং গবাদিপশু দগ্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা পানি ও বালু দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও তীব্রতার কারণে কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণ করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডে তিনটি টিনশেড বসতঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। ঘরে থাকা আটটি ছাগল আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়। সৌভাগ্যবশত কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে পরিবারের সদস্যরা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, আগুনের লেলিহান শিখায় তারা কিছুই বের করতে পারেননি। চোখের সামনে ঘর, আসবাবপত্র, কাপড়চোপড় ও গবাদিপশু—সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ খালিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে, তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় আরও প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। ঘরগুলো টিনশেড ও কাঠের তৈরি ছিল, আর বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে সামান্য শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এসকে রাসেল/এমআরএম