কিশোরগঞ্জে ফুটপাত দখল করে দোকান-স্থাপনা, নীরব প্রশাসন

6 hours ago 7

কিশোরগঞ্জ শহরের ফুটপাত, ওয়াকওয়ে, নদী সংলগ্ন খোলা জায়গা, সবই এখন দখলদারদের দখলে। শহরের গৌরাঙ্গ বাজার ব্রিজের দুই পাশ, বড় বাজার, মুক্তমঞ্চ ও আশপাশের এলাকায় একের পর এক গড়ে উঠছে অবৈধ দোকান, টং ও অস্থায়ী-স্থায়ী স্থাপনা। এত যেমন শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে সব দেখেও এ বিষয়ে নির্বিকার প্রশাসন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে দখল বেড়েছে। যেখানে আগে মানুষ নির্বিঘ্নে হাঁটতে পারত, এখন সেই পথ দোকান আর মালামালে ভরপুর। নদীপাড়ের খোলা বাতাসের জায়গাও দখল হয়ে গেছে।

কিশোরগঞ্জে ফুটপাত দখল করে দোকান-স্থাপনা, নীরব প্রশাসন

পথচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে নদীর ধারে হেঁটে যাওয়া যেত, এখন দোকান আর ভ্যানগাড়িতে জায়গা নেই। ফুটপাত মানেই এখন বাজার।

কলেজছাত্রী লাবণী আক্তার ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ওয়াকওয়ে আগে সুন্দর ছিল। এখন সব জায়গা দখল হয়ে গেছে। মেয়েদের চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

কিশোরগঞ্জে ফুটপাত দখল করে দোকান-স্থাপনা, নীরব প্রশাসন

স্থানীয় এক দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা প্রতিদিন জায়গার ভাড়া দেই। প্রশাসন কিছু বলে না।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ৫ আগস্টের আগে এক দলের লোকেরা দখল করে ছিল, এখন সরকার বদলে অন্য দলের লোকেরা দখল করছে। দখলদার বদল হয়েছে, কিন্তু দখল বন্ধ হয়নি। প্রশাসন চোখ বুজে আছে।

কিশোরগঞ্জে ফুটপাত দখল করে দোকান-স্থাপনা, নীরব প্রশাসন

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ফুটপাত, ওয়াকওয়ে ও নদীর জায়গা সরকারি সম্পত্তি। এগুলো কেউ দখল করতে পারে না। আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। খুব দ্রুতই অভিযান চালানো হবে, প্রয়োজনে উচ্ছেদ কার্যক্রমও শুরু হবে।

শহরের সচেতন নাগরিকরা বলছেন, যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে কিশোরগঞ্জ শহরের সৌন্দর্য, খোলা বাতাস ও পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল, সবই হারিয়ে যাবে দখলদারদের হাতে।

এসকে রাসেল/এমএন/এএসএম

Read Entire Article