রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে এক স্কুলছাত্রীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে পাঁচজন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে মরদেহ গুমের জন্য হাতিরঝিলে ফেলা হয়।
এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন, রবিন ও রাব্বি। রবিন পেশায় একজন গাড়িচালক। রাব্বি মৃধার নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই।
গ্রেফতার দুই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর সঙ্গে অনলাইনের পরিচয়ের সূত্র ধরে মহাখালীর একটি ফ্ল্যাটে ডেকে আনা হয়। এরপর রবিনসহ ৫ জন মিলে হাত-পা বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে হত্যা করেন তারা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। মা-বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে বাইরে বেরিয়েছিল সে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।
তিনি বলেন, নিহত কিশোরী গত ১৬ জানুয়ারি কেনাকাটা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ তারিখে একটি মামলা করেন নিহতের বাবা।
মামলার তদন্তে নেমে কিশোরীর মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দুজনকে গ্রেফতারের পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। এরপর রবিন ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
গ্রেফতারদের বরাত ডিসি রওনক জাহান আরও জানান, দুই যুবক পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, পাঁচজন মিলে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এতে তার মৃত্যু হলে মরদেহ হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রোববার ওই কিশোরীর মরদেহ হাতিরঝিল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিকে, কিশোরীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আজ সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন ও রাব্বি মৃধা।
টিটি/এসএনআর/জেআইএম