সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) যৌথ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় দালাল চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে ২০ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা (র্যাব)-১১, সিপিসি-২ ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরোজ কোরাইশি দৃপ্ত।
আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লা সদর উপজেলার কুচাইতলী এলাকার মো. সোহেল (৩০), একই এলাকার মো. তাজুল ইসলাম (২৬), মো. নাছের (৩৬), মো. ইমন (২১), তেতৌয়ারা এলাকার মাহবুবুর রহমান (২৮), চরপাত্তি এলাকার মো. জাকির (৪৩), চাপাপুর গ্রামের মাহমুদ (৪০), চৌদ্দগ্রামের চিওড়া এলাকার মো. আলাদিন (৩০), সদর দক্ষিণ উপজেলার রাজাপাড়া এলাকার মো. অপু (৩৪) এবং ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর আজিজ ফাজিলপুর এলাকার আব্দুল আজিজ (৩০)।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে ও আশপাশে কিছু অসাধু ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে দালালি করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এবং বিভিন্নভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। পরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দালাল সন্দেহে মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে দালালি কার্যক্রমে সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া ১০ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে রোগী ধরিয়ে দেওয়া, ওষুধ সরবরাহ ও অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বাবদ কমিশন নেওয়াসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল বলে জানায় র্যাব।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরোজ কোরাইশি দৃপ্ত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালচক্র সক্রিয়। র্যাবের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে জড়িতদের আটক করা হয়েছে। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দালালদের কোনো স্থান নেই, এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে। স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও রোগী সুরক্ষার স্বার্থে জেলা প্রশাসন ভবিষ্যতে হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে নিয়মিত তদারকি জোরদার করবে।
র্যাব–১১, সিপিসি–২ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় দালালচক্র এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, ওয়ার্ডবয় থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্সচালক পর্যন্ত অনেকে এই চক্রের প্রভাবে ছিল। রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বিভ্রান্ত হচ্ছেন, অনেক সময় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব অনিয়ম প্রতিরোধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এনএইচআর/জিকেএস

3 hours ago
6









English (US) ·