ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে লালমনিরহাট। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু এ জেলার মানুষ। দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এতে কষ্টে আছেন তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান চর এলাকার মানুষ। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতের তীব্রতার কারণে খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা।
এদিকে রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ জেলা হিমালয়ের অনেকটা কাছাকাছি হওয়ায় তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমাজনিত রোগে ৩৫ জন শিশু ও বৃদ্ধ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভ্যানচালক আলীবর বলেন, এই ঠান্ডায় কোনো লোকজন নেই, তাই ভ্যান নিয়ে বসে আছি।
তিস্তার চরের কৃষক আইনুল হক বলেন, ঠান্ডায় কাজকাম করা যায় না। হাত গুটিয়ে আসে। খুবই কষ্টের মধ্যে আছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বলেন, কনকনে ঠান্ডায় শীতার্ত মানুষের জন্য এই উপজেলায় ২৫০ পিস কম্বল বরাদ্দ হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার খিতিশ খালকো বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমাজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য শিশু-বৃদ্ধের খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো প্রকার ঠান্ডা না লাগে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার বলেন, শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য প্রায় ১০০০ কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে। পাঁচ উপজেলায় এরইমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে।
রবিউল হাসান/এফএ/এএসএম