ডিপথেরিয়া, নিউমোনিয়া ও হুপিং কাশিসহ শিশুদের ছয়টি মারাত্মক রোগের টিকা মিলছে না কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। এতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
গত শনি ও রোববার হাসপাতালটিতে টিকা দিতে এসে ফিরে গেছেন অনেক শিশুর অভিভাবক। তারা বলছেন, গত মাসেও টিকা দিতে পেরেছেন। কিন্তু চলতি মাসে হাসপাতালে শিশুদের মারাত্মক ছয়টি রোগের টিকার সরবরাহ না থাকায় সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই টিকাদান কর্মসূচি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শুধু ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালই নয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ গোটা জেলাতেই শিশুদের এই টিকার সংকট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার বলেন, এসব টিকাদান কর্মসূচি জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে পরিচালিত হয়। বর্তমানে টিকার সংকট রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিস্তারিত সিভিল সার্জন জানাতে পারবেন।
শিশুকে টিকা দিতে আসা জহুরুল নামের এক অভিভাবক বলেন, আমার সন্তানকে গত মাসে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে এসে জানতে পারলাম টিকা শেষ হয়ে গেছে। উপায়ান্তর না পেয়ে এখন বেসরকারিভাবে কোথাও দেওয়া যাবে কিনা সেই খোঁজ নিচ্ছি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন আকুল উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি জেলায় টিকার স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। মাস ছয়েক আগেও একবার এ ধরনের সংকট তৈরি হয়েছিল। এটা স্থানীয় কোনো সমস্যা নয়, সারা দেশের সমস্যা।
তিনি জানান, বর্তমানে পেন্টা ও পিভিসি টিকা দুটির কোনো সরবরাহ নেই। ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি ও নিউমোনিয়াসহ কয়েকটি রোগ প্রতিরোধে এসব টিকা দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, দ্রুতই সংকট কেটে গিয়ে আবারো টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিভিল সার্জন।
আল-মামুন সাগর/এফএ/জেআইএম