কুড়িগ্রামে বন্যায় পটোল চাষিদের সর্বনাশ

3 weeks ago 8

কুড়িগ্রামে বৃ‌ষ্টি আর নদ-নদীতে পানি বাড়ার কার‌ণে বি‌ভিন্ন সব‌জির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ‌বিশেষ করে পটোল ক্ষেতসহ অন্য সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষ‌তিগ্রস্ত হয়েছেন চা‌ষিরা। দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামের প্রবাহমান ১৬টি নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিতে তলিয়ে যায় নিচু এলাকার আমন ধান, কলা ও সবজিক্ষেত। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পটোল চাষিরা।

কুড়িগ্রামে বন্যায় পটোল চাষিদের সর্বনাশ

অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় দুই হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা এখন পর্যন্ত অর্জন করা হয়েছে ৮৭০ হেক্টর জমিতে। এই ৮৭০ হেক্টর জমির মধ্যে রোপণকৃত সবজিসহ পটোলের ক্ষতি হয়েছে ৮৩ হেক্টর। এ ছাড়া ৬২১ হেক্টর আমন ধান ও ১০ হেক্টর কলাক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে ধরলা নদীর চরাঞ্চলে কৃষকরা প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে পটোল চাষ করেছেন। তবে যারা দেরিতে পটোল চাষ করেছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি।

ছড়ারপাড় গ্রামের কৃষক মমিনুল বলেন, ‌‘৩৫ হাজার টাকা খরচ করে দুই বিঘা জমিতে পটোল চাষ করেছি। কিছুটা পটোল তুলতে পেরেছি। পরে বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।’

কুড়িগ্রামে বন্যায় পটোল চাষিদের সর্বনাশ

একই গ্রামের জামাল ও নুর ইসলাম জানান, প্রথমে বৃষ্টিতে পটোল গাছের ফুলগুলো মারা যায়। পরে সার, কীটনাশক দেওয়ার পর আবার ফুল ধরা শুরু করে। শেষে হঠাৎ করে বন্যা এসে পটোল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তারা আসল টাকাই তুলতে পারেননি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রহমান জানান, বন্যায় ৮৩ হেক্টর জমির সবজি পানিতে নিমজ্জিত। এরমধ্যে পটোলও রয়েছে। পটোল একবার পানিতে ডুবে গেলে আর সারভাইভ করতে পারে না। এজন্য পটোল ক্ষেত ভেঙে আগামভাবে লাউ, কুমড়া বা বেগুন চাষ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রোকনুজ্জামান মানু/এসআর/জিকেএস

Read Entire Article