কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি মন্দিরের নির্মাণাধীন ৫টি মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা সরকারপাড়া সার্বজনীন কালীমন্দিরে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
যমুনা সরকারপাড়া সার্বজনীন মন্দিরের সভাপতি নিতাই লাল সরকার জানান, ১৯৪০ সাল থেকে এখানে মন্দিরে কালী পূজা হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৭ ডিসেম্বর মন্দিরে কালী পূজার জন্য প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলছিল। হঠাৎ করে শনিবার সন্ধ্যার পর দুর্বৃত্তরা মন্দিরের বারান্দায় থাকা নির্মাণাধীন ভদ্র কালী, মা শীতলা, শিবমূর্তিসহ ৫টি মূর্তি ভাঙচুর করে। এরপর স্থানীয় এক যুবক মন্দিরের বারান্দায় প্রতিমা দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশী সবাইকে খবর দেন। তারা এগিয়ে এসে মন্দিরের পাশে থাকা পরিত্যক্ত জায়গায় মূর্তিগুলোকে ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। পরে মূর্তিগুলো মন্দিরের বারান্দায় এনে রাখা হয়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়ে এ এলাকার দীর্ঘদিনের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। অতীতে কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ প্রকৃত অপরাধীদের বিচার দাবি করছি। প্রতিমা ভাঙচুরের পর থেকে ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে খবর পেয়ে রাতেই উলিপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সাঈদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে মূর্তি ভাঙচুর অবস্থায় পরে থাকতে দেখেছি। পরে উলিপুর থানার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন।’
উলিপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে মন্দির পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’