মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে গত ২৬ অক্টোবর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘কুয়ালালামপুর পিস অ্যাকর্ড’ কার্যত অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার ঘটনায় থাইল্যান্ড সোমবার কম্বোডিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনা চালানো সম্ভব নয়। আমরা ভেবেছিলাম শত্রুতা শেষ হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি, মন্তব্য করেন তিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা বন্ধ থাকবে বলেও তিনি জানান।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বুধবার ১৮ জন কম্বোডিয়ান যুদ্ধবন্দির মুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এটি ছিল শান্তি প্রক্রিয়ার অন্যতম প্রধান ধাপ। তবে থাই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন উত্তেজনার পর এসব বৈঠক আপাতত স্থগিত করতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আজ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
অন্যদিকে কম্বোডিয়া এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সীমান্তে নতুন ভূমি-মাইন পুঁতে রাখার অভিযোগকে তারা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ দাবি করে জানিয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলের অধিকাংশ মাইন তিন দশক আগের যুদ্ধকালীন সময়ের—যেগুলো এখনো অপসারণ করা কঠিন ভৌগোলিক পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়নি।
রয়্যাল থাই আর্মির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সিসাকেত প্রদেশে মাইন বিস্ফোরণে দুই থাই সেনা আহত হন। একজনের পা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যজন কাঁধ ও বুকে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রায় ৫০০ মাইল দীর্ঘ থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্ত নিয়ে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলে আসছে। সীমান্ত নির্ধারণ ও ঐতিহাসিক মন্দিরগুলোর মালিকানা নিয়ে দুই দেশের জাতীয়তাবাদী উত্তেজনা দীর্ঘদিনের।
এমআরএম/জেআইএম

11 hours ago
4









English (US) ·