বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে বাধা দেওয়া ও অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) পাঁচ শিক্ষক, ছয় কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) শাহেদুজ্জামান শেখ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
কুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, মেকানিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া এবং কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. পিন্টু চন্দ্র শীলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে বাধা দেওয়া, বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত, সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগসহ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ছয়জন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দেবাশীষ মন্ডল, সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য শাখা) মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পট্রোলার জি এম আবু সাঈদ, সহকারী প্রোগ্রামার ওমর ফারুক, সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার মেহেদী হাসান রাজন এবং অফিস সহায়ক সত্যজিত কুমার দত্ত।
এসআর/জিকেএস