মোল্লা সোহাগ পরিচয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই প্রকৌশলী নিরাপত্তা চেয়ে ভিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রকৌশলী দুজন হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত এবং মো. গোলাম কিবরিয়া।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১৩ নম্বর ভবনের ছাদের ওপর ওয়াটারপ্রুফিং এর কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার এবং খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ হুমকি দিয়েছেন।
ভিসির কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৩ নম্বর ভবনের উল্লেখিত কাজের রেট প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা বাজারদরের সঙ্গে সরকারি নিয়মানুযায়ী ভ্যাট, আইটি এবং ১০ শতাংশ প্রফিট যুক্ত করে নির্ধারণ করেন। মোল্লা সোহাগের বক্তব্য, ১০ শতাংশ প্রফিট কেন যুক্ত করে দর নির্ধারণ করা হলো, তাকে আরও বেশি প্রফিট দিতে হবে। এ কথা বলার পর তাকে অফিসে যেগাযোগ করতে বললে মোবাইলে তাদের দুজনকে হুমকি প্রদান করেন খান জাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, রোববার (২ মার্চ) দুপুর আনুমানিক তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম মামুনুর রশিদের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে কল দিয়ে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ পরিচয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে তিনি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তাকে মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। এরপর একই নম্বর থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াতকেও একই পরিচয়ে গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে জানতে মোল্লা সোহাগের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে খান জাহান আলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ হাওলাদ্দার আব্বাস বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানাননি।
আরিফুর রহমান/এমএইচআর