ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের কাছে ওয়ানডেতে মাত্র ৯২ রানে অলআউট পাকিস্তান! গতকাল মঙ্গলবার ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ঘটেছে এমন অবিশ্বাস্য ঘ্টনা। ভক্তদের জন্য এমন সংবাদ মেনে নেওয়া কঠিনই বটে। কারণ, মাত্র কয়েকদিন আগেই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ২৭ রানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে অলআউট হয়েছিল এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবীয়দের সামনে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বাজে প্রদর্শনী দেখিয়ে ২০২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এমন বড় পরাজয়ের পর পাকিস্তান দলের তীব্র সমালোচনা করেছেন সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার। সতর্ক করে বলেন, যতবার পাকিস্তান গতিবান্ধব কন্ডিশনে খেলবে, ততবারই ব্যাটিং দুর্বলতা প্রকাশ পাবে।
ম্যাচ শেষে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানের হোয়াইট-বল প্রধান কোচ মাইক হেসনের ভূমিকাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেন শোয়েব। তার মতে, হেসন ভালো টি-টোয়েন্টি কোচ হলেও ৫০ ওভারের ফরম্যাটে তার পরিকল্পনা বিভ্রান্তিকর।
শোয়েব বলেন, ‘মাইক হেসন ভালো টি-টোয়েন্টি কোচ। কিন্তু ওয়ানডেতে তার গুণাগুণ কী, আমি জানি না। এই ফরম্যাটে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় না খেলালে ফল এমন হবে। আপনার দলে যদি প্রতিষ্ঠিত অলরাউন্ডার, ব্যাটার, বোলার ও স্পিনার না থাকে, তবে ৫০ ওভার পূর্ণ করা সম্ভব হবে না। এই ফরম্যাটে আপনি কোনোভাবে টিকে যেতে পারবেন না।’
শোয়েব আখতারের মতে, পাকিস্তানের ব্যর্থতার মূল কারণ ভুল নীতি, খেলোয়াড়দের ব্যর্থতা নয়। তিনি বলেন, ‘এটা খারাপ নীতির ফল, খেলোয়াড়দের দোষ নয়। পেসবান্ধব উইকেটে আপনার খেলোয়াড়দের দুর্বলতা সবসময় প্রকাশ পাবে। এখন এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে নতুন নামে ডাকা হচ্ছে- কম্বিনেশন।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে এখনো জায়গা পোক্ত না হওয়া পেসার জেইডেন সিলস গতকাল মঙ্গলবার মাত্র ১৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন। শোয়েব আখতারের আশঙ্কা, যদি অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্করা এই ম্যাচে বল করতেন, তাহলে আরও কম রানে গুটিয়ে যেতো পাকিস্তান। যে কারণে তিনি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
শোয়েব আখতার বলেন, ‘কৃতজ্ঞতা যে, প্যাট কামিন্স আর মিচেল স্টার্ক এখানে ছিল না। এমন কন্ডিশন যেখানে থাকবে, আমাদের খেলোয়াড়রা ধরা পড়বে।’
৩৪ বছর পর মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ম্যান ইন গ্রিনদের কাছে টানা ১০টি সিরিজ হেরেছিল ক্যারিবীয়রা। সর্বশেষ জয় পেয়েছিল ১৯৯১ সালের নভেম্বরে।
এমএইচ/জিকেএস