নাটোরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) নাটোরের চাঁদপুরে আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজ মাঠে কৃতী শিক্ষার্থীদের জন্য এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নাটোরের শতাধিক কৃতী শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন।
আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ রেহেনা খাতুন।
স্বাস্থ্য খাতে রাজশাহী ও নাটোর এলাকায় অবদান রাখতে ২০১৬ সালে নাটোরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল চালু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে সেখানে নার্সিং কলেজ চালু করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উজমা চৌধুরী বলেন, ‘তোমরা এখানে অতিথি হিসেবে এসেছো, এটা যেন শেষ না হয়। তোমাদের অর্জন ধরে রাখতে হবে। একদিন তোমরা আলোকিত মানুষ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাবিশ্বেই নার্সিং অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরেই এ পেশায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমাদের স্বপ্ন এ নার্সিং কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে। শিক্ষার্থীরা যেন সব সুযোগ সুবিধা পেয়ে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নাটোর, নরসিংদী ও হবিগঞ্জসহ কয়েকটি স্থানে আমাদের হাসপাতাল রয়েছে যেখানে তারা কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের অদম্য চেষ্টা ও কলেজের বিভিন্ন উদ্যোগ একদিন স্বাস্থ্য খাতে বড় উদহারণ তৈরি করতে সক্ষম হবে।’
- আরও পড়ুন>
- সরকারি দুই বস্ত্রকলের দায়িত্ব পেলো প্রাণ-আরএফএল
- ভোগ্যপণ্য, মোবাইল ও পোলট্রি শিল্পে বিনিয়োগে আসছে প্রাণ-আরএফএল
বর্তমানে নার্সিং খাতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজে রয়েছে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী অভিজ্ঞ শিক্ষক, নিজস্ব আধুনিকমানের হাসপাতালে হাতে-কলমে শেখার ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক ল্যাব, বিশাল ক্যাম্পাস ও স্বল্প খরচে আবাসিক ব্যবস্থা।
বিএসসি ইন নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি- এ তিনটি কোর্সে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। বাংলাদেশ নাসিং কাউন্সিল নির্ধারিত সিলেবাসে কলেজের পাঠ্যক্রম সাজানো হয়েছে এবং এটি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।
এসআইটি/এএসএম