কেউ খুশি, কারোর কপালে চিন্তার ভাঁজ

12 hours ago 3

ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ ২২ মার্চ, রমজানের ২১। আর মাত্র দিন দশেক পরই ঈদ আনন্দে মেতে উঠবেন মুসল্লিরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করবেন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। সেই লক্ষে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ। রাজধানীর বড়বড় শপিংমলসহ পরিচিত মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। এতে খুশি সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে হতাশ ছোট ছোট ও অপরিচিত শপিংমলের দোকানিরা। তাদের বেচাকেনা নেই বললেই চলে। অনেকেই চিন্তায় আছেন দোকানের কর্মচারীদের বেতন কিভাবে দিবে সেটা নিয়ে। দোকানে বসে অলস সময় পার করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। মার্কেটে কোনো ক্রেতা গেলে হাঁকডাকে ঝাঁপিয়ে পরেন দোকানিরা।

কেউ খুশি, কারোর কপালে চিন্তার ভাঁজ

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মার্কেট ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। সব সময়ের মতো ভিড় রয়েছে গুলিস্তান, নিউমার্কেট, চকবাজার, কৃষিমার্কেট, মিরপুরের খোলা মার্কেট, বসুন্ধরা, সুবাস্তু, যমুনা ফিউচার পার্ক, উত্তরার রাজউক মার্কেটসহ বেশকিছু পরিচিত জায়গায়।

পুরো উল্টো চিত্র দেখা গেছে- গুলশানের ডিসিসি মার্কেট, বাড্ডার হল্যান্ড সেন্টার, প্রিমিয়ার শপিং কমপ্লেক্স, কনফিডেন্স টাওয়ার, ধানমন্ডির মেট্রো শপিংমল, এ.আর প্লাজাসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটে। ক্রেতার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন বেশ কয়েকটি মার্কেটের বিক্রেতারা।

কেউ খুশি, কারোর কপালে চিন্তার ভাঁজ

এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের রোজায় বেচাকেনা হয়নি বললেই চলে। অন্যবার রোজার শুরুর দিকে ক্রেতা কম আসলেও শেষ দিকে ভিড় করে। তবে এবার ২০ রোজা পেরিয়ে গেলো এখনো তেমন ক্রেতার দেখা মিলে না। বাকি রোজায় ক্রেতা আসবে কিনা সন্দেহ আছে। এবার রোজায় ভালো ব্যবসা তো দূরের কথা কোনো রকম দোকান ভাড়া আর কর্মচারীদের বেতন দেওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়েই চিন্তায় আছি।

পুরো মার্কেট ঘুরেও চোখে পরেছে হাতে গোনা দু-একজন ক্রেতা। তাদের দেখেই কে কার দোকানে নিবে সেই চেষ্টা করছেন দোকানিরা। মাঝে মধ্যে কিছু দোকানে দু-একজন ক্রেতার দেখা মিললেও বেশির ভাগ দোকানিরাই বসে অলস সময় পাড় করছেন।

কেউ খুশি, কারোর কপালে চিন্তার ভাঁজ

গুলশানের ডিসিসি মার্কেটের দোকানিরা জানান, আগে এ মার্কেট বেশ জমজমাট ছিল। ঈদের সময় নারী ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে যেত। তবে এবার তেমন ক্রেতা নেই। আশায় আছি একবারে শেষ সময় হয়তো কিছু বেচাকেনা হবে।

ধানমন্ডির এ. আর প্লাজার বিভিন্ন দোকানের বিক্রেতারা বলেন, মার্কেট ঘুরেই তো বুঝতে পারছেন কেমন বেচাকেনা হচ্ছে। কোনো কাস্টমার নেই। সকাল থেকে এসে বসে আছি। আশায় আছি কাস্টমার আসবে। এখনো পর্যন্ত কোনো কাস্টমারই আসেননি। দেখি ইফতারের পর যদি কেউ আছে। এবছর কর্মচারীদের বেতন-বোনাস কিভাবে দিব এখনো জানি না।

জেএস/এএসএম

Read Entire Article