কেন্দ্রীয় কারাগারের অধিকৃত জমি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

23 hours ago 3

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জমিতে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তা সরকারি নিয়ম দেখিয়ে রাতের আঁধারে দখলে নিয়ে সীমানা পিলার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এ অভিযোগ করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন ওরফে মোক্তার হোসেন।

তার অভিযোগ, কারাগার কর্তৃপক্ষ তার জমিটি অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি তা দেননি। পরে বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতের নজরে আনেন। বিষয়টি নিয়ে দুটি আপিল সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আদালতে বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি কারা কর্তৃপক্ষ সেই জমিতে থাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে দখলে নিয়ে পিলার দিয়েছে।

মোক্তার হোসেনের দাবি, তার জমিটির অবস্থান ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের পাশে। যার পরিমাণ ৬৭ শতাংশ। জমিটি তার নামে খারিজ করা এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। নতুন কারাগার হওয়ার আগে জমিটি সরকার অধিগ্রহণ করতে চাইলে তিনি দেননি। সেই জমিতে একটি মাদরাসা, মসজিদ ও এতিমখানা করবেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে বহুবার চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তার চিঠিতে কারা কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।

তিনি জানান, পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি আদালতে রিট করেন। রিটের শুনানিতে বিষয়টির সমাধানও দেন আদালত। তার জমিটি গেজেটভুক্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু কারাগার সরকারি নিয়ম দেখিয়ে জমিটি সম্প্রতি দখলে নিয়েছে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত বুধবার রাতের আঁধারে তার জমির ওপর থাকা অস্থায়ী টিনশেডের ঘরটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার কেয়ারটেয়ারকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ ও তার জমি ফেরত চান তিনি।

এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত-উল ফরহাদ জাগো নিউজকে জানান, জমিটি সরকার অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু তিনি মালিকানা দাবি করে আদালতে রিট করেছেন। তিনি সেখানে টিনশেড করে সুন্দরবন কুরিয়ারকে ভাড়া দিয়েছেন। তিনি যে মামলা করেছেন সেই মামলায় রায় পেলে সরকার জমি ছেড়ে দেবে। আর যদি সরকারের পক্ষে রায় যায় তাহলে সরকার বুঝে নেবে।

টিটি/এমকেআর/এএসএম

Read Entire Article