কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক কমিটির শ্রদ্ধা

22 hours ago 9

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা ও পুষ্পস্তাবক অর্পণ করে তারা। এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় কমিটির আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস। আমরা খেয়াল করেছি, এই ভাষার মাসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের তারুণ্যের হাত ধরে এক নতুন ভাষা নির্মাণ হয়েছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে রাজনীতি নির্মাণের ভাষা যখন তৈরি হয়েছে, তখন আমরা সারাদেশের মানুষের কাছে আবেদন জানাবো, বায়ান্ন, একাত্তর, সাতচল্লিশ কিংবা চব্বিশ- প্রত্যেক আন্দোলনে, প্রত্যেক সংগ্রামের যে আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবো। বাংলাদেশে কোনো হানাহানি, মারামারি থাকবে না। বায়ান্ন, একাত্তর, চব্বিশের চেতনাকে ধারণ করে, সুন্দর, সাম্য, সমতা, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের বাংলাদেশ আমরা বিনির্মাণ করতে পারবো। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এ আমাদের চাওয়া।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আমরা বায়ান্ন সালে ভাষার দাবিতে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাবো, বাংলাদেশের মাটিতে যতগুলো ভাষা রয়েছে, সব জাতিগোষ্ঠী এবং ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ, অধিকার দেওয়া, শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার জন্য। বাংলাদেশে যত দূতাবাস আছে, সেখানে বাংলা হাউজ কৃষ্টি কালচার চালু করার জন্য। প্রত্যেকটি দেশে যদি আমরা বাংলা হাউজ চালু করতে পারি, বিশ্ববাসীকে আমরা জানান দিতে পারবো, বাংলাদেশের মানুষের আশা, মনন সম্পর্কে জানাতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বাংলাদেশের বাংলা ভাষাকে সরকারি বিল-পত্র থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় একটি সুন্দর পরিক্রমায় নিয়ে আসার জন্য। আমরা আশঙ্কা দেখতে পাচ্ছি, গত ৫৩ বছরে ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে শুরু করে যতগুলো ভাষার প্রতিষ্ঠান রয়েছে সবগুলোকে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষার অসংখ্য সম্পদ আমাদের কাছে রেখে গিয়েছেন। তাদের কথা, কবিতাগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য।

এনএস/কেএএ/

Read Entire Article