কারণ যাই থাকুক, পঞ্চ পান্ডবের চার প্রদীপই নেই। শুধু টেস্টে মুশফিকুর রহিম সলতে জ্বালিয়ে রেখেছেন। বাকি ২ ফরম্যাট- অর্থ্যাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চ পান্ডবশুন্য বাংলাদেশ।
এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ যখন শেষবার ওয়ানডে খেলতে মাঠে নেমেছিল, তাতেও মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন। এবার শ্রীলঙ্কা সিরিজে তাদেরও কেউ নেই।
কাজেই বাংলাদেশ লাইনআপে আপনা-আপনি আসবে পরিবর্তন। মানে দল গড়া হবে সব তরুণ ক্রিকেটারদের দিয়ে। এখন প্রশ্ন হলো ২ জুলাই, বুধবার কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে কেমন হবে বাংলাদেশের টিম কম্বিনেশন? প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার থাকবেন কতজন?
অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ কত নম্বরে খেলবেন? তাকে নিচে নামিয়ে খেলানো হবে, নাকি তিনি ৪-৫’এ ব্যাট করবেন? পেসার খেলানো হবে কতজন? পেস বোলার হিসেবে খেলবেন কারা? তাসকিনের কি ম্যাচ ফিটনেস ফিরে এসেছে? নাহিদ রানাকে কি টেস্টের পর প্রথম ওডিআইতে বিশ্রাম দেয়া হবে? স্পিনার খেলানো হবে কতজন? এসব কৌতুহলি প্রশ্ন ভক্তদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় প্র্যাকটিস ছিল টিম বাংলাদেশের। সেই প্র্যাকটিসেই প্রথম একাদশ সম্পর্কে ধারনা দেবে টিম ম্যানেজমেন্ট। জানা গেছে, সোমবার নেটে বোলিং করেননি তাসকিন। মাঠে আসলেও বিশ্রামে ছিলেন। আজ (মঙ্গলবার) যদি তাকে বোলিং করানো হয়, তাহলে ভিন্ন কথা। না হয় ধরেই নিতে হবে তাসকিন বুধবার প্রথম ওয়ানডে খেলছেন না।
এদিকে নাহিদ রানার খেলা নিয়েও আছে সংশয়। এ তরুণ পেসার শেষ টেস্ট খেলেছেন। প্রায় ২০ ওভার বোলিংও করেছেন। তারপর তারও সপ্তাহখানে রেস্ট দরকার। ২ জুলাই তাকে বিশ্রামে রেখে ৫ জুলাই দ্বিতীয় ম্যাচ খেলানোর সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে।
তাসকিন ও নাহিদ রানার কে খেলবেন? নাকি দু’জনই বিশ্রামে থাকবেন? সেটাই দেখার। তবে কেউ খেলুন আর নাই খেলুন, বাংলাদেশ দল মাঠে নামবে ৩ পেসার নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হাসান মাহমুদও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। বাঁ-হাতি মোস্তাফিজ আর তানজিম সাকিবের খেলা মোটামুটি নিশ্চিত।
এছাড়া স্পিনার কোটায় অধিনায়ক ও অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের সাথে লেগস্পিনার রিশাদকেই দেখা যাবে। ব্যাটার হিসেবে কোন সাতজন খেলবেন? তাই দেখার।
তানজিদ তামিমের সাথে ওপেনার হিসেবে পারভেজ ইমন নাকি আবার দলে ফেরা নাইম শেখ? কে ওপেন করবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দুজনের যে কেউ একজন খেলতে পারেন। তিন নম্বরে নাজমুল হোসেন শান্তকে খেলানোর চিন্তাই আছে ম্যানেজমেন্টের।
এরপর ৪, ৫ ও ৬ নম্বরে অধিনায়ক মিরাজ, লিটন দাস এবং তাওহিদ হৃদয় খেলবেন। এখন কাকে চারে, কাকে পাঁচে খেলানো হয়, আর কে ছয়ে খেলেন- সেটাই দেখার। এরপর জাকের আলী অনিক থাকবেন। আট নম্বরে রিশাদ হাসান। সঙ্গে ৩ পেসার।
এবার তাহলে একাদশটা মিলিয়ে নিন
তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন/ নাইম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি মিরাজ (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ/নাহিদ রানা।
এআরবি/আইএইচএস/