পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণার পর থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের কর্মবিরতিও শুরু হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ও একাডেমিক ভবনগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি দেখা যায়নি। অধিকাংশ জায়গাতেই সুনসান নীরবতা।
শিক্ষার্থীদের একটি অংশের কঠোর আন্দোলন, অনশন ও প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসা এড়িয়ে চলছেন।
এদিকে বেলা ১১টায় ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, যেকোনো সময় বড় ধরনের বিক্ষোভ বা মিছিল হতে পারে। ফলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাতের সংঘর্ষে উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া অচলাবস্থা রোববার সকালেও অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, টুকিটাকি চত্বর, শহীদ স্মৃতি সৌধ ও চারুকলা চত্বরসহ সব জায়গাতেই নীরবতা বিরাজ করছে। কেবলমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-
পোষ্য কোটা ইস্যুতে উত্তাল রাবি, প্রোভিসিকে দুই দফা অবরুদ্ধ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত
পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী
অপরদিকে আজ দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা আহ্বান করা হলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ কর্মসূচি সামনে রেখে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, গতকাল রাত ৩টার দিকে ভিসি স্যারের ঘোষণার পর সবাই চলে গেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যদিও ক্যাম্পাসে তাদের অনুমতি ছাড়া আমরা যেতে পারি না। তাই বাহিরের অংশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে রাকসু নির্বচনের আর মাত্র কয়েকদিন থাকলেও পোষ্য কোটা ইস্যুতে সকাল থেকেই কাউকে কোনো প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে পিছিয়ে যেতে পারে রাকসু নির্বচন।
এ বিষয়ে জানতে রাকসুর প্রধান নির্বচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম বলেন, রাকসু নির্বাচন নিয়ে কী হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারছি না। নির্বাচন কমিশন এগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/এমএস