ঝিনাইদহের শৈলকূপায় মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজে সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত পবিত্র কোরআন বিতরণ কর্মসূচিতে ছাত্রদল বাধা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছাত্রী সংস্থার কেন্দ্রীয় সভানেত্রী মুনজিয়া ও সেক্রেটারি জেনারেল উম্মে আরওয়া এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, পবিত্র কোরআন বিতরণের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী আচরণ আমাদেরকে হতভম্ব করেছে। এর মাধ্যমে ওই ক্যাম্পাসে ছাত্রীসহ শিক্ষকদের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার পক্ষ থেকে মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজের ছাত্রীদের মাঝে কোরআন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কোরআন বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরপরই ছাত্রদল কর্মীরা এসে এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেন। তারা ‘জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই করো, ধর ধর শিবির ধর, ধরে ধরে জবাই কর’—এই ধরনের ঘৃণ্য এবং আক্রমণাত্মক স্লোগানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। শিক্ষকদের সঙ্গেও উগ্র আচরণ করেছেন তারা।
মহাগ্রন্থ আল কোরআন কোনো রাজনৈতিক গ্রন্থ নয়, এটি আল্লাহ রব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে সমগ্র মানবজাতির জন্য দিকনির্দেশনা উল্লেখ করে ছাত্রী সংস্থা বলেছে, কোরআন বিতরণে বাধা দেওয়া যেমন ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, তেমনি মৌলিক অধিকার ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা। এ ঘটনার পর কলেজ ছাত্রদল শাখা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষপূর্ণ হুমকি প্রদান করতেও দ্বিধাবোধ করেনি।
ইসলামী ছাত্রী সংস্থার দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে যথাযথভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে। কোরআন অবমাননার কারণে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরএএস/এসআর