ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এ সময় কোর্টকে বিতর্কিত না করার জন্য বলেন বিচারক।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন। এদিন সকাল ১০ টার দিকে পরীমণি আদালতে আসেন। সকাল ১০ টা ১৭ মিনিটের দিকে আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। এ সময় এজলাসের পেছনে একটি বেঞ্চে বসে ছিলেন পরীমণি। তাকে আসামিদের ডকে যেতে বলেন পরীমণি।
পরীমণির পক্ষে নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল মামলাটি চার্জশুনানির জন্য ছিল। পরীমণি অসুস্থ থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। চার্জগঠন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আজ আত্মসমর্পণ করেছেন। তার জামিনের প্রার্থণা করছি।’
এরপর বিচারক বলেন, ‘আশা করছি, সবাই কোর্টের ডিগনিটি রক্ষা করবেন। কোর্টকে বিতর্কিত করবেন না। মামলাটা জামিনযোগ্য ধারার। আসলেই জামিন পাবেন বিষয়টা এমন নয়। বিচারাধীন বিষয়ে এভাবে আগে কথা বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?’
পরীমণির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি কোর্ট অফিসার। এ বিষয়গুলো ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবেন।’ পরে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল রোববার ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জুনায়েদের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। এদিন মামলার চার্জগঠন শুনানিতে পরীমণির হাজিরের দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জুনায়েদের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। এদিন মামলার চার্জগঠন শুনানিতে পরীমণির হাজিরের দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ জুলাই আদালতে নাসির উদ্দিন এ মামলা করেন। মামলায় পরীমণি ছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন। এরপর নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করাসহ মদের বোতল বিনামূল্যে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু না দিতে চাইলে ক্লাব ভাঙচুর করেন পরীমণি।
এরপর রাত সোয়া ১ টার দিকে বাদী নাসির ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে ডাক দেন। একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য চাপ দেন।
বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি গালমন্দ করেন। তাদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে পরীমণি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন। পরীমণির বিরুদ্ধেও মাদক মামলা হয়।