সংগঠন থাকলেও এতকাল ঘর ছিল না ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের। দীর্ঘ কাল পর অবশেষে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটাররা নিজেদের সংগঠন কোয়াবের জন্য ঘর পেলেন।
সে সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ‘কোয়াব’ এর নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটারদের এই সংগঠনটির নির্বাচন। কোয়াবের আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ আজ সোমবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ জানান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হলেও কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোনো পরিচালক এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। তারাও নির্বাচনের বাইরে থাকবেন। তাতে করে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি দূর হবে এবং এর পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘ইলেকশন ওপেন আছে। এখানে যে কেউ দাঁড়াতে পারবে। তো ভোটাধিকার আমার আছে, আমি যাকে মনে করবো যে আমাদের জন্য পারফেক্ট, আমরা তাকেই সিলেক্ট করবো।’
নির্বাচনে কারা প্রার্থী হবে না হবে তা নিয়ে মিঠুন আরও বলেন, ‘আমরা আসলে স্পেসিফিক কোনো নাম আপনাদেরকে বলতে পারবো না, কারণ আমাদের মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে। এটা যে কেউ হতে পারে। যেটা আমাদের সবার প্লেয়ারদের তরফ থেকে সবার স্বার্থে হবে, সেটা করা হবে। দেখেন, অনেকে আছে ব্যক্তিকেন্দ্রিক, অনেকে আছে সবাইকে নিয়ে কাজ করে। তো লিডার এমন হওয়া উচিত যে সবাইকে নিয়ে চিন্তা করে। তো এরকম পার্সন আমরা খুঁজতেছি।’
সাংবাদিকদের সাথে কথোপকোথনের এক পর্যায়ে সাকিব প্রসঙ্গও চলে আসে। সে ইস্যুতে কোয়াব আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ বলেন, ‘সাকিবের যে বিষয়টা সেটা নিয়ে আমরা এই মুহূর্তে কথা বলতে চাচ্ছি না। সে আমাদের কিংবদন্তি ক্রিকেটার। বাংলাদেশ থেকে আসা সেরা ক্রিকেটার তিনি। তাই সাকিবের ভিন্ন একটি মর্যাদা রয়েছে। সাকিবের বিষয়টা আমাদের রাজনৈতিক বিষয়, আমাদের ক্রিকেট বোর্ড এই বিষয়টার দেখবে এবং সমাধান করবেন।’
প্রসঙ্গতঃ বিসিবি পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার ইফতিখার রহমান মিঠুকে কোয়াব নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনোনীত করা হয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক উইকেটরক্ষক নাসির আহমেদ নাসুও সহকারি নির্বাচক হিসেবে থাকবেন। আর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে দেওয়া হয়েছে সদস্য যাচাই-বাছাই ও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার দায়িত্ব।
এআরবি/আইএইচএস/