ক্যাম্পাসের চারপাশে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান

8 hours ago 6

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু), হল ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের চারদিকে অবস্থা নিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসের প্রবেশ মুখের কাছে শান্ত পরিবেশ থাকলেও দুপুরের পর থেকে শিক্ষার্থীদের সমর্থনে ভিড় করেছে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা।

ক্যাম্পাসের চারপাশে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান

উপস্থিত নেতারা বলছেন, তিনদশক পর রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস কাজ করছে। রাজশাহী স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা পেয়ে তারা নির্বাচন উপভোগ করছেন। তারা শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিতে এসেছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর, কৃষি অনুষদ প্রাঙ্গণ, স্টেশন বাজার, হরিজন পল্লি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে হরিজন পল্লী এলাকায় অবস্থানকারী মতিহার থানায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাকিব আলী বলেন, ‘আমরা রাবিয়ান। অনেক বছর পর ভোট হচ্ছে। আমরা উৎসব উপভোগ করছি। আমরা মহানগরের নেতাদের নির্দেশে এখানে আছি। তবে ভোট উৎসব উপভোগ করতে থাকছি এখানে।’

বিনোদপুরে বিএনপির সামিয়ানার নিচে অবস্থান করা মহানগর বিএনপির বোয়ালিয়া থানার সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। ১৭ বছর দেশে কোনো ভোট হয়নি। আর ক্যাম্পাসে ভোট হচ্ছে সাড়ে তিনযুগ পরে। আমরা মূলত এখানে অবস্থান নিয়েছি উৎসব উদযাপন করার জন্য। কোনো ধরনের ঝামেলা করার জন্য নয়, এটা শিক্ষার্থীদের ভোট।’

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী বলেন, ‘জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সেখানে আছে বলেই আমরা এসব এলাকায় সজাগ আছি। তারা যেন প্রভাব বিস্তার না করতে পারে। আমাদের এক ধরনের সজাগ থাকার নির্দেশনা আছে।’

ক্যাম্পাসের চারপাশে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার সংলগ্ন মেহেরচণ্ডী এলাকাতেও বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অবস্থান নিতে দেখা যায়।

সেখানে অবস্থান করা রাজশাহী মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রকুনুজ্জামান আলম বলেন, ‘আমরা নির্বাচন এনজয় করতে এখানে এসেছি। ১৭ বছর ছিল না। রাকসু হয়নি ৩৫ বছর, ফলে আমাদের এটা নিয়ে আগ্রহ আছে। তাছাড়া রাকসুর প্রভাব জেলা ও মহানগরে পড়বে। ফলাফল যাইহোক আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যেখানে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ প্রাঙ্গণের উত্তর পাশের চাউনিতে অবস্থান বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান করেছে। তার ৫০ ফিট দূরত্বে অবস্থান নিয়েছে জামায়াত নেতাকর্মী।

জামায়াত নেতাকর্মীদের একজন একরামুল হক। তিনি জামায়াতের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের আবেগের জায়গা। শিক্ষার্থীরা নির্বাচন করছেন, আমরাও রয়েছে ক্যাম্পাসের বাহিরে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে।

এদিকে বিকেল ৪টায় একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। কঠোর নিরাপত্তায় ব্যালট বাক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফল ঘোষণা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরএএস/আরএইচ/জিকেএস

Read Entire Article