ক্যারিয়ারই সবকিছু নয়, পরিবারও গুরুত্বপূর্ণ

2 hours ago 3

মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মডেলিংয়ে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা এবং মিশরে ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন তিনি। তারপর ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে ‘সুজানা’ চরিত্রে অভিনয় করে হন প্রশংসিত। সে বছরই শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘আবার হাসিমুখ’ গানের মিউজিক ভিডিওতে তাকে দেখতে পাওয়া যায়। পরে ২০১৫ সালে তিনি একই সঙ্গে বেশ কটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’। 

এর মধ্যেই লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিস থেকে আইন বিভাগে স্নাতক শেষ করেন তিনি। বর্তমানে উচ্চ আদালতে আইনজীবী পেশাতে ব্যস্ত রয়েছেন পিয়া। 

সম্প্রতি গ্লোবাল স্টার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এ ‘দশকের মডেল’ খেতাবে সম্মানিত হয়েছেন। 

এরপর ক্যারিয়ার ও নতুনদের নিয়ে পিয়া বলেন, ‘নতুনরা যারা মিডিয়াতে আসতে চায়, বিশেষ করে মেয়েরা, তাদের বলব, গ্ল্যামার বেশিদিন থাকবে না। সে ক্ষেত্রে পড়াশোনা ও নৈতিকতাটা জরুরি। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ নিজের বিবেচনা ও বিচারবুদ্ধি দিয়ে করতে হবে। শর্টকাটে কোথাও পৌঁছে যাবেন, এমন ভাবনা ভাববেন না। আমার নিজের ক্ষেত্রেও যদি বলি তবে আমি একজন মা, ব্যবসায়ী নারী, আইনজীবী, মডেল ও একজন উপস্থাপিকা। এতকিছু করতে পেরেছি কারণ আমি প্রতিনিয়ত স্কিল বাড়িয়েছি, যা কাজ করতে করতে। স্কিল অর্জন না করেই সব করতে চাই এমন ভাবা উচিত নয়।  আরেকটি বিষয় হলো, জীবনে ক্যারিয়ারই সবকিছু নয়, পরিবারও গুরুত্বপূর্ণ। যারা মনে করেন যে বিয়ে করলে বা বাচ্চা হলে ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে, তারা ভুল। আজীবন ক্যারিয়ার নিয়ে থাকতে থাকতে একসময় দেখবেন পরিবার ছাড়া কেউ আর পাশে নেই।’

এরপর এতগুলো পেশা কীভাবে সামলান—জানতে চাইলে পিয়া আরও বলেন, ‘আমার সমস্যা হয় না। সাধারণত সবাই ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা কাজ করলে আমি ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা কাজ করি, এটাই তফাত। প্রতিদিন শুটিং থাকে, বাচ্চা আছে। কাজ বেশি করতে হয়; কিন্তু আমি হ্যাপি। যেহেতু বললাম শর্টকাট কিছু নেই।’

বর্তমানে পিয়া মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে বিজ্ঞাপনেও দেখা যায় তাকে।
 

Read Entire Article