খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুতেই ছিল চমক। ব্যাট হাতে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নেমেই হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। চামিন্দা ভাস ও মুত্তিয়া মুরালিধরনদের মতো কিংবদন্তিদের নিয়ে গড়া শ্রীলঙ্কার বোলিং শক্তির বিপক্ষে অভিষেকেই কনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরি করে বাজিমাত করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এবার কোচ হিসেবে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন হলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াকে ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্স। একজন কোচ হিসেবে এর চেয়ে চমৎকার আর স্বপ্নিল সূচনা আর কী হতে পেরে? মোহাম্মদ আশরাফুল উদ্বেলিত, পুলকিত।
মিকি আর্থার দলটির প্রধান কোচ হলেও প্রধান সহকারী কোচ ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটার আশরাফুল।
সাত সমুদ্র ওপারে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গায়ানায় বসে আজ শনিবার সকালে জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোনে রংপুর রাইডার্সের সাফল্যের পেছনের গল্প শুনিয়েছেন আশরাফুল।
নিজের অনুভূতি, দলের সাফল্যে তার ভূমিকা, ক্রিকেটারদের কার কী পারফরমেন্স এবং হেড কোচ মিকি আর্থার তাকে কিভাবে দেখেছেন, কেমন মূল্যায়ন করেছেন এসব বর্ণনা উঠে এসেছে আশরাফুলের কথায়।
কোচ হিসেবে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই আন্তর্জাতিক একটি আসরে চ্যাম্পিয়ন। আশরাফুল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘কী যে ভালো লাগছে, অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। আমি খুব খুশি, উদ্বেলিত, পুলকিত। বারবার মনে হচ্ছে খেলোয়াড়ি জীবনের মত কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটাও হলো দারুণ। এখন এটা ধরে রাখতে হবে।’
আশরাফুল মনে করেন, রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার-কোচিং স্টাফ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ম্যানেজমেন্টের সমন্বয় ছিল দারুণ। তার কথা, ‘আমাদের সবার মধ্যে একটা সুন্দর সমঝোতা ছিল। সম্প্রীতির বন্ধন ছিল দারুণ। আমরা কোচিং স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেটাররা সবাই একটা ইউনিট হিসেবে কাজ করেছি। তাই সাফল্যও ধরা দিয়েছে।’
আশরাফুলের অনুভব, পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি আর ৩ স্পিনার রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী এবং যুক্তরাষ্ট্রের হারদীপ সিংয়ের সাজানো বোলিং ডিপার্টমেন্টের অতি কার্যকর বোলিং এবং বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার (৫ খেলায় ১৮৮ রান) সময়মত ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠাই ছিল রংপুর রাইডার্সের ট্রফি জেতার মূলে।
এআরবি/এমএমআর/এমএস