ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণায় হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

ভূমিকম্পের আতঙ্কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘোষণায় বিকেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল থেকে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। শুক্র ও শনিবারের ভূমিকম্পের পর নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধের মৌখিক ঘোষণা দেয়। শিক্ষার্থীদের সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা বলেন, সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন একটি মৌখিক ঘোষণা দিয়েছে এখনো নোটিশ আসেনি। এদিন দুপুরে দেখা গেছে, ছাত্রী হল থেকে অনেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তবে অনেকে এখনো দ্বিধায় রয়েছেন। কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, হঠাৎ করে হল ছাড়ার নির্দেশের কারণে তারা সমস্যায় পড়েছেন, কারণ টিউশনসহ অন্যান্য কাজ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলছেন, বাধ্যতামূলক হল ত্যাগের নির্দেশ দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। আবার কেউ মনে করছেন, হল বন্ধের

ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণায় হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

ভূমিকম্পের আতঙ্কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘোষণায় বিকেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল থেকে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বের হতে দেখা গেছে।

শুক্র ও শনিবারের ভূমিকম্পের পর নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধের মৌখিক ঘোষণা দেয়। শিক্ষার্থীদের সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা বলেন, সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন একটি মৌখিক ঘোষণা দিয়েছে এখনো নোটিশ আসেনি।

এদিন দুপুরে দেখা গেছে, ছাত্রী হল থেকে অনেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তবে অনেকে এখনো দ্বিধায় রয়েছেন। কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, হঠাৎ করে হল ছাড়ার নির্দেশের কারণে তারা সমস্যায় পড়েছেন, কারণ টিউশনসহ অন্যান্য কাজ রয়েছে।

ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণায় হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলছেন, বাধ্যতামূলক হল ত্যাগের নির্দেশ দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। আবার কেউ মনে করছেন, হল বন্ধের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ হলে থাকার চেয়ে বাড়ি চলে যাওয়া ভালো সিদ্ধান্ত। পুরান ঢাকা অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠেছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এ অঞ্চলের অবস্থা ভয়াবহ হবে।

হল ছেড়ে চলে যাওয়া মিম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, হঠাৎ পরপর কয়েকবার ভূমিকম্প হওয়ায় আমরা ভীষণ আতঙ্কে আছি। হলের ভবনে পুরোনো ফাটল ধরা এবং সংকীর্ণ করিডোর দেখে মনে হচ্ছিল যে কোনো সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত কোনো নির্দেশনা বা আশ্বস্তকর ব্যবস্থা না থাকায় আমরা অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপাতত বাড়ি ফিরে যাওয়ার। জীবন আগে, তারপর পড়াশোনা-এই চিন্তা থেকেই আজ রাতে হল ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।

টিএইচকিউ/এমআইএইচএস/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow