রাজশাহীতে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডায় মেতে থাকা শিক্ষার্থীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এমন অভিযান শুরু করেছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) পর্যন্ত দুই দিনে ১৯ জনকে ধরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী নগরের পদ্মাপাড়ে দেখা যায়, স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরে অল্প বয়সী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আড্ডা দিচ্ছে। এ ছাড়া নগরের বড়কুঠি, পাঠানপাড়া, লালনশাহ মুক্তমঞ্চ, শিমলা পার্ক ও পুলিশ লাইন্স এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আড্ডায় মেতে ওঠে। তাদের অনেকে নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়ছে। তাই তাদের ধরতে এবার মাঠে নেমেছে পুলিশ।
আড্ডা দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রথমে ধরে নেওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। এরপর তাদের অভিভাবকদের ডাকা হয়। আর কখনও ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেবে না, এমন মুচলেকা নিয়ে তাদের দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকের জিম্মায়। আরএমপির ডিবি পুলিশ দুই দিনে ১৯ জনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পদ্মাপাড়ে আড্ডা দেওয়া ৯ শিক্ষার্থীকে আটকের পর অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পদ্মার পাড় থেকে এসব শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরএমপি জানায়, ডিবি পুলিশের একটি দল পদ্মার পাড়ের শিমলা পার্ক থেকে ইনিফর্ম পরা অবস্থায় ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়। পরে তাদের সচেতন হওয়া এবং এর কুফল সম্পর্কে ধারণা দিয়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ক্লাস চলার সময় কিছু শিক্ষার্থী স্কুল ও কলেজ ফাঁকি দিয়ে পার্কে ও পদ্মার পাড়ে আড্ডা দিচ্ছে। এ ছাড়া তারা কিশোর অপরাধের মতো বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এমন অভিযোগ কিছুদিন থেকেই পাচ্ছেন আরএমপির কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ এমন অভিযান শুরু করেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পার্ক ও পদ্মাপাড়ের আড্ডা থামাতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।