ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের একটি ক্লাসে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন ফরহাদ। তবে ফরহাদ নিজে এবং ওই সময় ক্লাসে উপস্থিত বেশ কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের ভাষ্য, ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই ফরহাদ কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন। এসময় তিনি কাউকে বিরক্ত না করে শুধু সালাম দিয়ে চলে যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সুপ্ত বলেন, ‘ফরহাদ ভাই তখন ক্লাসে কোনো প্রচারণা করেননি। আসলে তখনো আমাদের ১০৩ কোর্সের ক্লাস শুরু হয়নি। তিনি ঢুকে শুধু সালাম দেন, এরপর বের হয়ে যান। ছবিতে যেটা দেখা গেছে, সেটা আগের ক্লাসের স্লাইড।’
সাজিদ জিসান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ফরহাদ ভাই কাউকে ভোট চেয়ে বিরক্ত করেননি। তিনি শুধু এসে সালাম দেন এবং বলেছিলেন, ‘দোয়া রাইখো।’ তারপর চলে যান।
ঘটনার সময় ক্লাসে থাকা শিক্ষক রনি মৃধা বলেন, আমার ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে। আমি একটু দেরিতে ঢুকি। প্রায় একই সময়ে ফরহাদও কক্ষে আসে। তখন ক্লাস শুরু হয়নি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দু’একটা কথা বলে সে আমাকে ‘সরি’ বলে বের হয়ে যায়। ফলে এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফরহাদ বলেন, ‘ইন্সটিটিউটের ক্লাসের মাঝে লম্বা ব্রেক থাকে, তখন শিক্ষার্থীরা আড্ডা দেয়। আমি হাঁটতে হাঁটতে তাদের সঙ্গে দেখা হলে শুধু সালাম দিয়েছি। কোনো লিফলেট দিইনি, কারো কাছে ভোটও চাইনি। এখন একটি ছবি ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ডাকসুর আচরণবিধির ৬(চ) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে— শ্রেণিকক্ষ, পাঠকক্ষ বা পরীক্ষার হলে এমন কোনো সভা বা প্রচারণা করা যাবে না, যা পাঠদান বা পরীক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষ ও করিডোরে মিছিলও নিষিদ্ধ।
ডাকসুর আচরণবিধি বিষয়ক টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা এখনো এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ এলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএআর/এমএমকে/এএসএম