ক্ষমতা বাড়ছে প্রধান শিক্ষকের, স্লিপ ফান্ডে বরাদ্দ বেড়ে ৩ লাখ

2 hours ago 4

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রধান শিক্ষকের আওতায় যে স্লিপ ফান্ড থাকে, তাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের আরও কিছু আর্থিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করছে অধিদপ্তর।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মহাপরিচালক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা আমরা বাড়াচ্ছি। আগে ক্ষুদ্র মেরামত বা স্লিপ ফান্ডে প্রধান শিক্ষকরা দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারতেন। এটা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হবে। অন্যান্য জায়গাতেও কীভাবে প্রধান শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষমতাবান হতে পারেন, তা নিয়েও আমরা কাজ করছি।

আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, বিশেষ করে নির্মাণকাজ অথবা মেরামতের কাজের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। দুজনেরই প্রত্যায়ন ছাড়া কোনো বিল দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন
প্রাথমিকে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নভেম্বরে
প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেতে লাগবে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা

তিনি বলেন, আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিতে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাদের লিডারশিপ ট্রেনিংসহ অন্য ট্রেনিংগুলো কীভাবে আরও ইনক্লুসিভ করা যায়, সে লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছি।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে প্রধান শিক্ষকদের আরও ক্ষমতা বাড়াতে পারবো। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সারাদেশে যত প্রতিষ্ঠান আছে, তার নির্মাণ থেকে শুরু করে সংস্কার কাজের জন্য অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া এসব প্রকল্পের কাজ শেষে আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে জরাজীর্ণ কোনো বিদ্যালয় থাকবে না।

জানা যায়, সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পরিচালনায় প্রতি বছর ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (স্লিপ)’ ফান্ডের আওতায় প্রায় ৪৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রয়োজন অনুযায়ী এ সংস্কার কাজ করে থাকেন। তবে স্লিপ ফান্ডের বিল তোলার জন্য প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা/থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যৌথ সই প্রয়োজন হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের ৫১৩টি উপজেলার ৬৫ হাজার ৫৩১টি বিদ্যালয়ে দুই দফায় ৪৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৮ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেসব স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০ জনের মধ্যে, তারা বরাদ্দ পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ৫১ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীর স্কুলে এক লাখ, ৩০১ থেকে ৬০০ শিক্ষার্থীর স্কুলে দেড় লাখ, ৬০১ থেকে এক হাজার শিক্ষার্থীর স্কুলে দুই লাখ এবং এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর স্কুলে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এএএইচ/ইএ/জিকেএস

Read Entire Article