গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, একটা দল ক্ষমতায় আসার আগেই চাঁদাবাজি দখলদারি শুরু করেছে। আপনাদের আওয়ামী লীগের পতন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। যে কোনো নব্যফ্যাসিবাদ কিংবা দখলদারত্বের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ আবারও রাজপথে নামতে প্রস্তুত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে সিংগাইর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা। সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের দায়িত্ব নিয়েছে। সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বিষয়টি ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করতে হবে। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান না হলে যেমন ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ হতো না, তেমনি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে ২৪ সালের এই গণঅভ্যুত্থানও হতো না। বিএনপি জামায়াত গত ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন নিপিড়ীনের শিকার হয়েছে। বিগত সময় লড়াই সংগ্রামে তাদের ভূমিকা ছিল। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে রাজপথে নেমে তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এই এলাকার একজন এমপি ছিলেন মমতাজ, যিনি ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি করতেন, অথচ তার এলাকায় এসে দেখলাম দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ নাই। আওয়ামী লীগ এভাবে ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে দেশের অবস্থা ১২টা বাজিয়ে দিয়ে গেছে। তাদের অবস্থা ছিল ওপর দিয়ে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাটের মতো অবস্থা। তারা উন্নয়নের আড়ালে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারছে না। আওয়ামী লীগ দেশের টাকা পাচার করে দেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ করে দিয়ে গেছে। আবার এই সরকার ভ্যাট এবং ট্যাক্স বাড়িয়েছে, এর প্রভাব মানুষের উপর পড়বে। আমরা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বর্ধিত ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
গণঅধিকার পরিষদের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমরা আগামীতে স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেব। দলকে সেভাবে সংগঠিত করতে হবে সবাইকে। আপনারা এলাকায় কেউ কোনো অপরাধে জড়ালে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করুন। গণঅধিকার পরিষদ বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করেছে। আগামীতে যেন নতুন কোন ফ্যাসিবাদ জন্ম না নিতে পারে সেজন্য গণঅধিকার পরিষদ সব সময় সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।
সিংগাইর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বাবায়ক দেওয়ান আলামিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাঈম। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জাহিদ বিশ্বাস, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি হাসান আলী, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি মামুন শেখ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফেজ সুহেল রানা, সিংগাইর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবু প্রমুখ।