বিএনপির ইশতেহার প্রসঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন বলেছেন, পরিবেশ ধ্বংসকারী কোনো প্রকল্প উন্নয়নের নামে ইশতেহারে থাকবে না। পাশাপাশি সবুজায়ন বাড়াতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বছরে ৫ কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেবে। একই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানি কমিয়ে নবায়নযোগ্য খাতে জোর দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে আয়োজিত তৃতীয় ম্যানিফেস্টো টক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘ফসিল ফুয়েল টু রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড জাস্ট ট্রানজিশন’ শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মাহদী আমিন বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার রাতারাতি কমানো সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশের জ্বালানি খাত আমদানি নির্ভর এবং এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতি জড়িত। তবে বিএনপি ইশতেহারে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে। পরিবেশ ধ্বংসকারী কোনো প্রকল্প উন্নয়নের নামে ইশতেহারে থাকবে না।
আরও পড়ুন
- নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর: তারেক রহমান
- হাসনাত আবদুল্লাহর খোঁজ নিলেন রুমিন ফারহানা, পাঠালেন উপহারও
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমাতে হবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছাই পারে এই সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রাখতে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জয়েন্ট কনভেনর জাভেদ রাসিন বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি খাতের সঙ্গে লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান জড়িত। তাই হঠাৎ করে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে তিনি আশ্বাস দেন, এনসিপি পরিবেশ সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার প্রণয়ন করবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তরুণরাই পারে এই সংকট মোকাবিলা করতে। সরকারের পরিকল্পনায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।
এসময় জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী ইশতেহারে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান অন্য বক্তারা।
এফএআর/কেএসআর/এমএস