খাদ্য কর্মকর্তা কেজিতে ঘুষ নেন ৭৫ পয়সা

2 months ago 11

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেজিপ্রতি চালে ৭৫ পয়সা ঘুষের হার নির্ধারণের অভিযোগ উঠে। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (০২ জুন) খাদ্যগুদামে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে দুদকের একটি টিম। এতে গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণসহ নানা অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক।  

জানা গেছে, মিল মালিকদের নিয়ে সভা করেই এ ঘুষের হার নির্ধারণ করেন তিনি। যদিও আগে এর হার ছিল ৫০ পয়সা। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) টাঙ্গাইল দুদকের উপপরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খাদ্য গুদামে চাল দিতে চাইলে মিল মালিকদের দিতে হবে কেজিপ্রতি ৭৫ পয়সা। সভা করে এই রেট নির্ধারণ করেন গুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। আগে যেখানে মিল মালিকদের দিতে হতো ৫০ পয়সা। সভায় কথোপকথনের অডিও ফাঁস হলে সত্যতা যাচাইয়ে খাদ্য গুদামে সোমবার অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন। ওইদিন বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। 

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, মিল মালিকদের থেকে চালের কেজিপ্রতি ৭৫ পয়সা ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়াও নানা অনিয়মসহ চাল পরিবহনের টাকাও আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া গেছে। যে ট্রাক দিয়ে চাল গুদামে আনলোড করার কথা সেই একই ট্রাক দিয়ে চাল অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ চাল গুদামে না এসে চলে যায় অন্য জায়গায়। কাগজে-কলমে ঠিকই দেখানো হয় গুদামে আনলোড হয়েছে।

তিনি বলেন, তিনটি গুদামের মধ্যে দুটি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। চালের বস্তা গুনে দেখা হবে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এ বিষয়ে জানতে ঘাটাইল উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা যায়নি। 

ঘাটাইল খাদ্য নিয়ন্ত্রক রফিকুল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো মিল মালিক মৌখিক বা লিখিতভাবে ৭৫ পয়সা ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি জানাননি। তবে মিল মালিকদের নিয়ে সভা করেছেন খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা এ কথা সত্য। এছাড়াও দুদকের এ ধরনের অভিযানকে তিনি সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সবার মধ্যে একটা স্বচ্ছতা থাকতে হবে।
 

Read Entire Article