খামেনিকে হত্যা করাটাই এখন যুদ্ধের লক্ষ্য

2 months ago 5

ইসরায়েলের যুদ্ধনীতির অন্যতম লক্ষ্য এখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ‘খতম’ করা। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বিরসেভা শহরের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সরোকা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এই কথা বলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।

তিনি বলেন, খামেনির মতো মানুষ সবসময় এজেন্টদের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। যে ব্যক্তি আমাদের ওপরে সরাসরি হামলার নির্দেশ দেয়, সে যেন বেঁচে না থাকে- এটাই হওয়া উচিত। এই মানুষটিকে থামানো ও শেষ করা এখন আমাদের সামরিক অভিযানের অংশ।

ইসরায়েলি নেতারা প্রথম থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে ‘রেজিম চেঞ্জ’ বা শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন। ইরানে হামলা শুরুর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি ভিডিওবার্তায় ইরানিদের বলেন, এই সামরিক অভিযান আপনাদের স্বাধীনতার পথে সহায়ক হবে বলে আমরা আশা করি।

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে বলেন, আমরা এখনই খামেনিকে হত্যা করছি না... কিন্তু আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, আমরা খামেনিকে বাদ দিয়ে শান্তি চাই না, কিন্তু সময় ঘনিয়ে আসছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি পর্যায়ে কোনো দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন। পাশাপাশি এটি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরিসর বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

এর আগে বুধবার (১৮ জুন) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইরান চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের মতো চাপিয়ে দেওয়া শান্তিরও বিরোধিতা করবে। এই জাতি কারও চাপের মুখে কখনো আত্মসমর্পণ করবে না। বুধবার (১৮ জুন) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এই কথা বলেন তিনি।

খামেনি বলেন, যারা ইরান ও তার ইতিহাস সম্পর্কে জানে, তারা জানে— হুমকির ভাষায় ইরানিদের কিছু বোঝানো যায় না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যের ইঙ্গিত দিয়ে খামেনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মার্কিনিরা জানুক- যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক হস্তক্ষেপ করে, তবে তার ফলাফল হবে অপূরণীয়।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএএইচ

Read Entire Article