খাল খননের মাটি ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ, বসতভিটা হারানোর শঙ্কা

1 month ago 8

ফরিদপুরের মধুখালীতে খাল খনন করা হয়েছে। এবার সেই খালের অতিরিক্ত মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে ২৫টি ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ৩২ পরিবার। এছাড়া ধসে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে পাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। যা এরই মধ্যে ফাটল ধরে দেবে গেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন উপজেলা আড়পারা গ্রামের খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মধুখালী উপজেলার গড়িয়াদহ খালের প্রায় সোয়া ৩ কিলোমিটার (৩ দশমিক ২৫ কিলোমিটার) অংশ পুনঃখননের কাজ করা হয়। ১২ মার্চ উত্তোলন করা মাটি নিলামে দরপত্র দেওয়া হয়।

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বিভাগের খাল পুনঃখননের মাটি অপসারণের জন্য উন্মুক্ত নিলাম দরপত্র ক্রয় করেন এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক। সেই অতিরিক্ত মাটি কেটে বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করছেন তারা। এতে করে রাস্তাসহ বাড়িঘর ধসে পড়ার অবস্থা হয়েছে।

খাল খননের মাটি ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ, বসতভিটা হারানোর শঙ্কা

ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর সত্তার বলেন, এলাকার প্রভাবশালী লোকজন অতিরিক্ত মাটি কেটে আমাদের ক্ষতি করছেন। আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি মাটি যাতে না কাটা হয়। কিন্তু তারা আমাদের বলছে আমরা উপজেলা থেকে মাটির টেন্ডার এনেছি।

আমেনা বেগম বলেন, আমার বাড়ির সঙ্গে খাল। ম্যাপ ধরে মাটি কাটলে আমাদের এই ক্ষতি হতো না।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা ওসমান মণ্ডল বলেন, প্রয়োজনের চেয়েও বেশি গভীর করে কাটা হয়েছে খাল। খালের মাটি বেকু দিয়ে গভীর করে কেটে পাড়ে স্তূপ করে রাখা হয়।

খাল খননের মাটি ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ, বসতভিটা হারানোর শঙ্কা

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু রাসেল বলেন, রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী খালের অতিরিক্ত মাটি সাইড থেকে অপসারণের জন্য আমাকে চিঠির মাধ্যমে জানান। এরপর আমি উন্মুক্ত নিলাম দরপত্র করে অতিরিক্ত মাটি অপসারণের দরপত্র দেই। এরপর রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল খননের যে ডিজাইন সেভাবে কাটা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাড়িঘর ও রাস্তা ক্ষতির বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের আপদকালীন সহায়তার জন্য ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন। খালপাড়ের মানুষের বাড়িঘর রক্ষার্থে উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/জেআইএম

Read Entire Article