বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক মতবিনিময় সভা শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ক্যান্টনমেন্টে খালেদা জিয়ার বাড়িটি অবিলম্বে ফেরত দেওয়া হোক। তাকে স্বৈরাচারী কায়দায় সরিয়ে দেওয়ার পর সেখানে যদি অন্য কোনো পরিবারকে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে তাদেরকে অন্য জায়গায় বদলি করতে হবে। ক্যান্টনমেন্টের ওই জায়গাটি হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্য বরাদ্দ স্থান। তাই সেখানে অন্যকিছু করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উৎখাত হওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থেকে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। সোপর্দ করতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর কাছে।
বিএনপির অপর কেন্দ্রীয় নেতা এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী, তা আবারও প্রমাণিত হলো সেনাকুঞ্জে বেগম জিয়ার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিক অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েছিলেন সেই দৃশ্য দেখে।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে; সেই স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার সকল ষড়যন্ত্র আমাদেরকে রুখে দিতে হবে এবং এ জন্য দরকার ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য। আপনারা জেনে খুশি হবেন, সামান্য মতবিরোধ থাকলেও ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে সভা হয়েছে সেখানে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ ১৮টি ছাত্র সংগঠন অংশ নিয়েছিল। তারা ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ ঘোষণা করেছে।
সম্রাট ‘ইস্কন’কে একটি চরমপন্থি সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ওরা আওয়ামী উদ্যোগে এবং পার্শ্ববর্তী একটি দেশের ইন্ধনে বাংলাদেশে অস্থিরতার চেষ্টা করছে। ইনশাআল্লাহ তারা সফল হবে না।
১/১১ পরবর্তী সময়ে বিএনপির চরম দুঃসময়ে আন্তর্জাতিক প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালনকারী আব্দুল লতিফ সম্রাট অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। সেগুলো হচ্ছে ১. অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, ২. দ্বৈত-নাগরিকত্ব গ্রহণকারী প্রবাসীদের জাতীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দিতে হবে, ৩. সরকারি প্লট, অ্যাপার্টমেন্ট বরাদ্দে প্রবাসীদের জন্য কোটা সংরক্ষিত রাখতে হবে ৪. শুধু মুখে নয়, প্রবাসীদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে কাজকর্মে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিনের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সমাবেশে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা দলের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি বাবরউদ্দিন, সেক্রেটারি সুরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মো. সেলিম, বিএনপি নেতা মাহফুজুল মাওলা নান্নু, সৈয়দ এম রেজা, আবু তাহের, মাহজারুল ইসলাম জনি, শাহাদৎ হোসেন রাজু প্রমুখ। এতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীর সমাগম ঘটেছিল।