খালেদা জিয়ার চিকিৎসক প্যাট্রিক কেনেডির পরিচয়

11 hours ago 4
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। জন প্যাট্রিক একজন প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ। উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে থাকা তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির পরিচয় :  দ্য লন্ডন ক্লিনিকের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, অধ্যাপক কেনেডি একজন শীর্ষস্থানীয় লিভার বিশেষজ্ঞ এবং লিভারের ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে কাজের জন্য তিনি বিশ্বে পরিচিত। ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর লন্ডনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ২০০৯ সালে বার্টস এবং লন্ডন স্কুল অব মেডিসিন অ্যান্ড ডেন্টিস্ট্রিতে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগ দেন হন। তিনি হেপাটাইটিস বি (সিএইচবি) রোগ নিয়ে গবেষণা কাজ করেছেন এবং তার গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল লিভারের ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষ কৌশলের বিকাশ ঘটানো। এ বিষয়ে ২০০ টিরও বেশি প্রকাশনা এবং ৯০টিরও বেশি পিয়ার রিভিউড নিবন্ধসহ একাধিক বই লিখেছেন অধ্যাপক কেনেডি। তিনি হেপাটোগ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির একটি বইও সম্পাদনা করেছেন। অধ্যাপক কেনেডি একজন পরামর্শদাতা চিকিৎসক এবং হেপাটোলজিস্ট, যিনি তরুণদের লিভার রোগ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ আগ্রহী। তিনি প্রিমিয়ারশিপ ফুটবল ক্লাব, বিদেশের পেশাদার ক্রীড়াবিদ ও অভিজাত ক্রীড়াবিদদের লিভার রোগ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একজন বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা এবং এইচবিভি ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া ইউরোপীয় লিভার রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের এইচবিভি ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস গাইডলাইন কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। ওষুধ উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে মতামত প্রদান করে থাকেন অধ্যাপক কেনেডি। অধ্যাপক কেনেডি লিভারের ভাইরাল রোগের অভিনব থেরাপি নিয়ে কাজ করছেন। তিনি এই রোগের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেরাপির প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ফেজ এর প্রধান। তিনি ব্রিটিশ ভাইরাল হেপাটাইটিস গ্রুপের চেয়ারম্যান। প্রফেসর কেনেডি এইচবিভি অ্যান্ড মি নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি তার গবেষণা ও রোগীদের সঙ্গে সর্বাত্মক যোগাযোগ রেখে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির রোগী দেখার ফি ৩৫০ পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২ হাজার ৫৪৯ টাকা। রোগীর ফলোআপে ফি নেন ২৫০ পাউন্ড বা ৩৭ হাজার ৫৩৫ টাকা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করে। কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা থেকে দোহা হয়ে লন্ডনে পৌঁছান বুধবার। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিএনপির চেয়ারপারসন লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়াকে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে তার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে। খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
Read Entire Article