খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর ফেসবুক পোস্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে শোক জানান তিনি। পোস্টে মুশফিকুল ফজল আনসারী লেকেন, জাগতিক সব চেষ্টা তুচ্ছ করে, জেগে ওঠা সব আশাকে ছাপিয়ে মহান রবের ডাকে পরপারে পাড়ি জমালেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের অবিচল প্রহরী, জনগণের প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি লেখেন, ওয়াশিংটনে রওনা হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে পবিত্র মক্কায় ফজরের নামাজের প্রস্তুতির সময় অনলাইনে যেতেই গভীর এক ধাক্কা খেলাম। মনকে কোনোভাবেই বুঝাতে পারছি না, এ কি হলো। পারলাম না, পারলাম না কোনো কাজে লাগাতে। ম্যাডাম কেবল দিয়েই গেলেন, নিলেন না কিছুই। মুশফিকুল আনসারী লেখেন, বারবার লিখতে গিয়েও কোনো শব্দই গেঁথে রাখতে পারছি না। মনে হচ্ছে, ভাষা আজ পরাজিত, অনুভূতি আজ শব্দের চেয়েও ভারী। এ শুধু একটি শোক সংবাদ নয়, এক কালের পরিসমাপ্তি, এক কিংবদন্তির নীরব বিদায়। একটি জাতির দ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে শোক জানান তিনি।
পোস্টে মুশফিকুল ফজল আনসারী লেকেন, জাগতিক সব চেষ্টা তুচ্ছ করে, জেগে ওঠা সব আশাকে ছাপিয়ে মহান রবের ডাকে পরপারে পাড়ি জমালেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের অবিচল প্রহরী, জনগণের প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি লেখেন, ওয়াশিংটনে রওনা হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে পবিত্র মক্কায় ফজরের নামাজের প্রস্তুতির সময় অনলাইনে যেতেই গভীর এক ধাক্কা খেলাম। মনকে কোনোভাবেই বুঝাতে পারছি না, এ কি হলো। পারলাম না, পারলাম না কোনো কাজে লাগাতে। ম্যাডাম কেবল দিয়েই গেলেন, নিলেন না কিছুই।
মুশফিকুল আনসারী লেখেন, বারবার লিখতে গিয়েও কোনো শব্দই গেঁথে রাখতে পারছি না। মনে হচ্ছে, ভাষা আজ পরাজিত, অনুভূতি আজ শব্দের চেয়েও ভারী। এ শুধু একটি শোক সংবাদ নয়, এক কালের পরিসমাপ্তি, এক কিংবদন্তির নীরব বিদায়। একটি জাতির দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস আজ নিঃশব্দে থেমে গেলো । কোটি কোটি মানুষের আশা-ভরসার যে ঠিকানাটি ছিল অবিচল, যেনো হঠাৎ করেই তা শূন্য হয়ে গেল। মানুষের সাহস, ভরসা এবং মাথা উঁচু করে বাঁচার প্রেরণার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয় আজ নীরব, নিথর।
তিনি লেখেন, এই বিদায় শুধু একজন নেত্রীর নয়, মায়ের মতো আগলে রাখা এক অভিভাবকের বিদায়। যিনি নির্যাতিতকে সাহস দিয়েছেন, আশাহতকে ভরসা জুগিয়েছেন, হতাশ জনতাকে দেখিয়েছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ। নির্যাতন, কারাবাস, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মুখেও তিনি আজীবন আপসহীন থেকেছেন গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারের প্রশ্নে। তার কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তা, মনে ছিল অটল বিশ্বাস, আর হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে বাংলাদেশ। বেগম খালেদা জিয়া কেবলই একজন নেতা ছিলেন না, ছিলেন একটি প্রজন্মের সাহস, একটি জাতির আত্মবিশ্বাস, সংগ্রামের প্রতীক। তার জীবন মানেই প্রতিরোধ, তার নাম মানেই অবিচলতা। অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি মাথা নত করেননি, আপস করেননি, বরং দেশ ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন দৃঢ়চেতা মনোবল নিয়ে।
রাষ্ট্রদূত আরও লেখেন, এই শূন্যতা কোনো দিনই পূরণ হবার নয়। রাষ্ট্রের প্রতিটি রন্ধ্রে, রাজনীতির প্রতিটি বাঁকে, আর কোটি মানুষের হৃদয়ের গভীরে আজ এক গভীর নীরবতা ও চাপা আর্তনাদ। এমন একজন মানুষের প্রস্থান মানে শুধু একটি শূন্য আসন নয়, চলে যাওয়া সাহস, অভিভাবকত্ব আর নির্ভরতার এক অমূল্য ঠিকানা। তার আদর্শ, সংগ্রাম আর দেশপ্রেম পথ দেখাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। খালেদা জিয়াই বাংলাদেশ- আর বাংলাদেশই খালেদা জিয়া। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন। শোকাহত পরিবার ও শোকসন্তপ্ত জাতিকে এই গভীর বেদনা বহন করার শক্তি ও ধৈর্য দান করুন।
What's Your Reaction?