বরিশালে খাসজমি বিক্রি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে এক শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তার নাম স্বপন ফরাজী। তিনি সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৯ সালে ভূমিহীন সেজে স্ত্রী ও নিজের নামে ৫০ শতাংশ খাসজমি নিয়ে নেন। জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার এক বছরের মাথায় সেটি বিক্রি করে দেন তিনি। পরে গৃহহীন সেজে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাস করছেন তিনি।
সম্প্রতি বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর স্বপন ফরাজীর বিরুদ্ধে এমন একটি অভিযোগ দেন চরবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আল আমিন হাওলাদার।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার সাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২০২৩ সালে তিনি একটি ঘরের আবেদন করেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর তালিকায় তার নামও ছিল। তবে তার বরাদ্দ করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৩ নম্বর ঘরটি দেওয়া হয়েছে স্বপন ফরাজীকে। তৎকালীন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সহায়তায় তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে এসব কর্মকাণ্ড করেছেন।
অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা স্বপন ফরাজী ৫০ শতক জমি ও ঘর দুটি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও আর কিছু বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর আজাহারুল ইসলাম বলেন, স্বপন ফরাজী ৫০ শতক জমি পেয়েছেন এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর বরাদ্দ পেয়ে সেখানে বসবাস করছেন। এক ব্যক্তি একই সঙ্গে সরকারের দুই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাওন খান/আরএইচ/জেআইএম