খুশদিলের শূন্যতা, ব্যাটারদের দুষলেন আশরাফুল

2 hours ago 5

সেই ১৭ জানুয়ারি শেষ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চিটাগং কিংসকে ৩৩ রানে হারানোর পর জিততে ভুলে গেছে রংপুর রাইডার্স। তারপর ৫ দিন বিরতি।

২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে দুর্বার রাজশাহীর কাছে ২৪ রানে হার দিয়ে শুরু। তারপর গ্রুপপর্বে টানা ৪ ম্যাচে পরাজয়। আর জয়ের দেখা পায়নি রংপুর।

আজ সোমবার এলিমিনেটর পর্বে ৪ বিদেশি (খেলেছেন ৩ জন) উড়িয়ে এনেও ভাগ্য বদলায়নি। খুলনা টাইগার্সের কাছে ৯ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে সবচেয়ে বিগ বাজেটের রংপুর রাইডার্স।

কেন এ হতাশাজনক পরিণতি? যে দলটি সবার আগে প্লে-অফে নাম লেখালো, তারা কেন টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বিদায় নিলো? আজ খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনেও উঠলো সে প্রশ্ন।

রংপুরের প্রধান সহকারী কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল নিজ দলের এ করুণ পরিণতিকে চরম হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তার ভাষায়, ‘এটা অবশ্যই হতাশাজনক সবার জন্যই। তবে এটাই আসলে ক্রিকেট। একবার আপনি মোমেন্টাম হারিয়ে ফেললে ফিরে পাওয়া কঠিন। যেহেতু এটা খুব অল্প ওভারের খেলা, ১২০ বলের খেলা; মোমেন্টাম হারিয়ে ফেললে ফিরে পাওয়া কঠিন। আমরা টানা তিন বিভাগেই ফেইল করেছি। ২৩ তারিখ থেকে, প্রতি ম্যাচেই। রাজশাহী ম্যাচে শুরুতে ২টা ক্যাচ ছেড়েছি। পাওয়ারপ্লেতে ভালো করতে পারছিলাম না, এবারও পারিনি। সবার জন্যই হতাশাজনক।’

তার দল পারফর্মিং থেকে নন পারফর্মিং হলো কী কারণে? আশরাফুলের ধারণা, পাকিস্তানি খুশদিল শাহর চলে যাওয়াটা রংপুরের জন্য বড় সেটব্যাক ছিল।

আশরাফুলের ব্যাখ্যা, ‘গায়ানাতে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মাস্ট উইন ম্যাচে সে ফিফটি করেছিল। সেখান থেকে আসলে... খুশদিল শাহ চলে যাওয়ার পরে আসলে আমাদের কোনো প্লেয়ার সে জায়গাটা নিতে পারিনি। শুরুর দিকে যেভাবে আশা করেছিলাম, ৫ ম্যাচে শেষে তারা সেভাবে ভালো করতে পারেনি।’

এলিমিনেটর পর্বে এসে আজ সোমবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মূল সমস্যাটা কী ছিল? আশরাফুল দুষলেন নিজ দলের ব্যাটারদের, ‘কোচ হিসেবে আমার মনে হয়েছে আমাদের প্লেয়ারদের আরেকটু বিগ হার্ট নিয়ে খেলা উচিত ছিল। প্রথম ওভারে আউট হতেই পারে। এরপর যেভাবে প্লেয়াররা ডাউন হয়ে গিয়েছে, সেখানে একটু খারাপ লেগেছে। আরেকটু আগ্রাসী খেলা যেতো। যদি পাওয়ার প্লেতে ৩ ওভার স্পিনের বিপক্ষে আগ্রাসী খেলা যেতো উইকেট হয়তবা আরেকটা পড়ে যেতো, তবে আগ্রাসী ছিলাম না দেখেই তারা চড়ে বসেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আরও বিগ হার্ট হয়ে খেলতে হবে।’

‘গ্লোবাল সুপার লিগে জেতার কারণ ছিল, খুশদিল শাহর ৩০ বলে ফিফটি। আশা করেছিলাম সাইফ বা মেহেদী তারা হয়তবা আগ্রাসী ইনিংস খেলবে ১০ বলে ২০ রান, ২০ বলে ৪০ রান। সেই জিনিসটাই মিসিং ছিল’-হতাশ কণ্ঠে বলেন আশরাফুল।

এআরবি/এমএমআর/এএসএম

Read Entire Article