গণঅধিকার পরিষদের নিষিদ্ধের দাবি জাপা মহাসচিবের

4 hours ago 7

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আবারও ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। একই সঙ্গে তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নয়তো দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব দাবি জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যারা দোষী ব্যক্তি, তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা না হলে আমরা দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদকে তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য আমরা নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি।’

হামলার ঘটনার জন্য দায়ী করছেন কাকে, কারা হামলা চালিয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারে হামলা হয়েছে। সেখানে অন্য অনেক দলের লোক থাকতে পারে। কিন্তু ব্যানারটা গণঅধিকার পরিষদের ছিল।’

আরও পড়ুন

হামলা প্রতিহতে পুলিশের ভূমিকা ছিল কি না জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশের ভূমিকা যথেষ্ট ছিল বলে মনে করি। পাশাপাশি আমার মনে হয়, সেনাবাহিনী থাকলে হয়তো বা তারা এটা প্রতিহত করতে পারতো। পুলিশের জলকামান আসতে আসতে তারা আগুন দিয়ে দিয়েছে।’

গণঅধিকার পরিষদের নিষিদ্ধের দাবি জাপা মহাসচিবের

আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা মনে করি পুলিশ যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। তবে আমি মনে করি সেনাবাহিনী না থাকলে পুলিশ একা এই মবকে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমার মনে হয় সেনাবাহিনীরও প্রয়োজন আছে।’

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পরপর বিক্ষোভকারীদের একটি দল কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সাড়ে ৭টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এমএমএআর/এমএস

Read Entire Article