গণঅভ্যুত্থান বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাবিতে স্মারকলিপি

3 hours ago 8

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অফিসে কর্মরত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রুহুল আমিনসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত ঘটনায় জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রাপ্ত অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ঢাবির প্রশাসনিক ভবনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

স্মারকলিপিতে ট্রেজারার অফিসে কর্মরত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রুহুল আমিনসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত ঘটনায় জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রাপ্ত অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অফিসে কর্মরত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রুহুল আমিন জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন ৩ আগস্ট তৎকালীন সরকারের জুলাই গণহত্যার সমর্থনে প্রকাশ্যে মিছিলে অংশ নেন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত সহিংসতার প্রতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন জানান, যা ভিডিও ফুটেজে ধরা আছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তিনি অতীতে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদী অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত কিছু নেতাকে আশ্রয় দিয়ে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার পরিপন্থি আচরণ করেছেন— এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমন অভিযোগে অভিযুক্ত একজন কর্মকর্তা এখনও প্রশাসনিক দায়িত্বে বহাল থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপেক্ষ চরিত্র ও মুক্তচেতা ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের খুনিদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে শহিদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। উদ্বেগজনকভাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরও এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি, যা প্রশাসনিক ন্যায় ও স্বচ্ছতার ওপর প্রশ্ন তোলে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ ও স্বাধীন চিন্তার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রতিষ্ঠান কখনো পক্ষপাতদুষ্টতা বা ফ্যাসিবাদী চিন্তার আশ্রয়স্থল হতে পারে না।

শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত দাবি জানিয়েছেন—
ট্রেজারার অফিসে কর্মরত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা তৎকালীন সরকারের গণহত্যার পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন, তাদের প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে রিয়াদুল ইসলাম (যুবাহ), রাহাত খান, আমিন আহসান, রাফি এবং আরও কয়েকজন ছাত্রনেতা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এফএআর/এমএএইচ/

Read Entire Article