মানবাধিকারের পক্ষে তরুণদের সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতাসহ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় সংকল্প।
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, মানবাধিকার দিবসে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক মানবিক অধিকারহারা নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করাসহ সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিল।
আরও পড়ুন
- জান-প্রাণ দিয়ে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে: তারেক রহমান
- ঢাকা-দিল্লির বরফ গলতে পারে বিক্রম মিশ্রির সফরে
তিনি বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক। আওয়ামী শাসনামলে শুধু বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোরই কোনো নিরাপত্তা ছিল না। তাদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে গত ১৬/১৭ বছরে চরম কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করেছিল।
‘গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার আপসহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন সেই আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশনেত্রীও এখন মুক্ত।’
তারেক রহমান বলেন, মানবাধিকার দিবসের এ বছরের মূল থিম হচ্ছে ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, যুগে যুগে তরুণরাই সমাজের অসঙ্গতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই মানবাধিকারের পক্ষে তরুণদের সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
কেএইচ/এমকেআর/এমএস